সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার পুরী যোগসূত্র সামনে এসেছে। গত বছর পুরীর জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে তাঁকে সাহায্য করেছিল স্থানীয় এক ইউটিউবার। ওই ইউটিবারের সঙ্গে জ্যোতির যোগাযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে, পাক চরবৃত্তির অভিযোগে হরিয়ানা থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর সঙ্গেও জ্যোতির যোগাযোগে ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
পুরীর পুলিশ সুপার ভিনিত আগারওয়াল বলেন, “গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করেন জ্যোতি। তাঁকে সাহায্য করেছিল স্থানীয় এক ইউটিউবার। তাঁরা কোনারক মন্দিরেও গিয়েছিলেন। পুলিশ সেই সময়ের ভিডিওগুলি খতিয়ে দেখছে।” সূত্রের খবর, ওই সুন্দরী ইউটিউবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, জ্যোতির সঙ্গে তাঁর শুধু বন্ধুত্বের সম্পর্কই ছিল। যদিও পুলিশ জানতে পেরেছে জ্যোতির সঙ্গে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ওই ইউটিউবার। আর এতেই রহস্য তৈরি হয়েছে।
এদিকে চরবৃত্তির অভিযোগে শনিবার হরিয়ানা থেকে আরমান নামে ২৬ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে জ্যোতির যোগসূত্র মিলেছে বলে দাবি। জানা গিয়েছে, মোটা টাকার বিনিময়ে ভারতীয় সেনার একাধিক তথ্য জ্যোতিকে পাচার করতেন অভিযুক্ত। আর সেই তথ্যই পাকিস্তান হাই কমিশনের এক আধিকারিকের কাছে পাঠিয়ে দিতেন জ্যোতি।
উল্লেখ্য, তদন্তকারীরা জ্যোতি সম্পর্কে জানিয়েছেন, যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর চলছে, সেই সময় ভারতের একের পর এক গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করছিলেন জ্যোতি। এমনকী পেশায় ট্রাভেল কনটেন্ট ক্রিয়েটার এই মহিলা অপারেশন সিঁদুরের আগে তিন বার পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০২৩ সালে ভারতে নিযুক্ত পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জোত্যির আলাপ হয়। অভিযোগ, সেই সময় থেকেই পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তি শুরু তাঁর। ট্রাভেল ভিডিও বানানোর নামে পাকিস্তান গিয়ে জ্যোতি একাধিক আইএসআই এজেন্ট এবং কর্তার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের মধ্যে শাকির এবং রান শাহবাজ নামের দুই পাক এজেন্টের সঙ্গে জ্যোতির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। গত তিন বছরে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে বড় চর নেটওয়ার্ক তৈরি করেন জ্যোতি, এমনটাও দাবি গোয়েন্দাদের।
