সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস্ক (Mask) না পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন এক সেনা জওয়ান। আর সেটাই ছিল তাঁর ‘অপরাধ’। সবক শেখাতে সেনা জওয়ানকে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর পুলিশের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অত্যাচারের ভিডিও। করোনাকালে মাস্ক না পরা অনুচিত ঠিকই। তবে একজন সেনা জওয়ানকে এভাবে অত্যাচারেরও প্রতিবাদে সরব প্রায় সকলেই।
ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ছাতরার ঘটনা। তবে ভিডিও কোনদিনের সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় পুলিশের তরফে করোনা সম্পর্কিত সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। মাস্ক পরে রাস্তায় বেরনোর কথা বলা হচ্ছিল সকলকে। ইতিমধ্যেই কর্ম বাজার এলাকায় মুখে মাস্ক ছাড়াই দেখা যায় পবন কুমার নামে ওই জওয়ানকে।
[আরও পড়ুন: পুজোর আগেই উপনির্বাচন চায় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কমিশনকে চিঠি মুখ্যসচিবের]
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে কিছু না বলেই প্রথমে তাঁর বাইকের চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। আর তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সেনাকর্মীর (Army Jawan) বচসা বেঁধে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশকর্মীরা তাঁকে মারধর করতে শুরু করে। মারধরের চোটে রাস্তায় পড়ে যান সেনাকর্মী। ওই অবস্থাতেই তাঁকে ঘিরে ধরে চড়, কিল, ঘুষি, লাথি চলতেই থাকে। ওই জওয়ান বারবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই আরজি যদিও পুলিশের কান পর্যন্ত পৌঁছয়নি। মাস্ক না পরার কারণে সেনা জওয়ানকে হেনস্থা করা গেলেও, ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যারা মারধর করছে সেই পুলিশকর্মীদেরও অনেকেই মাস্ক পরেননি।
এরপর স্থানীয়রাই জখম অবস্থায় সেনা জওয়ানকে উদ্ধার করেন। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় থানায়। ছাতরার পুলিশ সুপারকে গোটা ঘটনাটি জানান ওই সেনা জওয়ান। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন পুলিশকর্মী এবং দু’জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পুলিশ সুপার রাকেশ রঞ্জনকে ফোন করেন স্থানীয় সাংসদ সুনীল কুমার সিং। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের (Police) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। শুধুমাত্র মাস্ক না পরার কারণেই সেনা জওয়ানকে হেনস্তা করা হয়েছে নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
