সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই মণিপুরে (Manipur) অসম রাইফেলসের কনভয়ে প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। এবার উত্তর-পূর্বের সেই রাজ্য থেকেই উদ্ধার হল বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার। মাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সম্ভার দেখলে দেখে মনে হতে পারে, কোনও যুদ্ধ লেগেছে। অথবা যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। সেই অস্ত্রের বহর দেখে চোখ কপালে উঠেছে সেনার। তাঁদের প্রাথমিক ধারণা, বড়সড় হামলার ছক কষেছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। আর তাদের সাহায্য করছিল চিন (China)।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার মণিপুর পুলিশ (Manipur Police) এবং অসম রাইফেলসের (Assam Rifles) ফুনড্রেই ব্যাটেলিয়ন যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। সেই অভিযানে কাকচিং জেলার (Kakching district ) ওয়াবআগাই ইয়ানবি হাই স্কুলের সামনে মাটির তলা থেকে মেলে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। ২০ রাউন্ড এম-৭৯ গ্রেনেড ( M-79 grenade launcher) লঞ্চার উদ্ধার হয়। মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া এই জেলায় কীভাবে এত অস্ত্র এল, কারা মজুত করল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সেখান থেকে মিলেছে, একে-৪৭ রাইফেল, একটি এমকিউ, একটি হেকলার কোচে রাইফেল।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের সব আসনে একাই লড়বে কংগ্রেস, যাবতীয় জোট জল্পনায় ইতি টানলেন প্রিয়াঙ্কা]
প্রাক্তন সেনাকর্তাদের সন্দেহ, ফের একবার উত্তর-পূর্ব ভারতকে অশান্ত করতে চাইছে চিন। তারা মায়ানমারের মাধ্যমে ঘুরপথে সীমান্ত লাগোয়া জেলাগুলিতে অস্ত্র পাচার করছে। অস্ত্রের জোগান দিচ্ছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে। কিন্তু এবার সেনা-পুলিশের যৌথ তৎপরতায় তাদের বড়সড় নাশকতার ছক ভেস্তে গেল। এড়ানো গেল বড় বিপদ। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
[আরও পড়ুন: দূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনা, লকডাউনে রাজি, জানাল দিল্লি সরকার]
প্রসঙ্গত, ১৩ তারিখই মণিপুরের মায়ানমার সীমান্তে অসম রাইফেলসের কনভয়ে বড়সড় জঙ্গি হামলা ঘটে। ঘটনায় এক কম্যান্ডিং অফিসার-সহ অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে মণিপুরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন মনিপুর পিপলস লিবারেশন আর্মি।