সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ছাব্বিশে আর চার রাজ্যের মতো বাংলাতেও নির্বাচন। অথচ, কংগ্রেস হাই কম্যান্ড বাংলা নিয়ে একপ্রকার উদাসীন। সেই উদাসীনতা কাটাতে কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠকে হাই কম্যান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন অধীর চৌধুরী। বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য। শনিবারের সেই সুবাদেই কর্মসমিতির বৈঠকে হাজির ছিলেন তিনি।
এদিন মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধীদের সামনে দুটি প্রস্তাব দেন অধীর। প্রথমত, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তার উল্লেখ করে দেশজুড়ে কর্মসূচির কথা বলেন তিনি। বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদের বক্তব্য, বাংলাভাষী ও বাংলাদেশীদের মধ্যে পার্থক্য না বুঝে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের এক যুবক মৃত্যুর উল্লেখও করেন তিনি। আসলে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে যারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মালদহ-মুর্শিদাবাদের, যা একসময় কংগ্রেসের গড় ছিল। কিন্তু বাঙালি হেনস্তা ইস্যুতে আগে থেকেই আন্দোলন করছে তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে সরব হয়েছেন। ফলে অধীর পিছিয়ে থাকতে চাইছেন না।
এদিকে 'মনরেগা বাঁচাও' অভিযানে দেশের চারটি চারটি মহাজনসভার আয়োজন করতে চাইছে কংগ্রেস। সেগুলির একটি বাংলায় করার সওয়াল করেন অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, সামনেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাঙালিদের কাছে এই বার্তা যাবে যে, পরিযায়ী বাঙালি শ্রমিকদের উপর হেনস্থা দল তাঁদের পাশে আছে। বাংলায় রাহুলের জনসভা হলে, নির্বাচনী প্রচারও করে নেওয়া যাবে। যদিও অধীরের এই বক্তব্য নিয়ে এআইসিসি কী অবস্থান নেয়, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, ছাব্বিশের ভোটে বঙ্গ কংগ্রেস কী অবস্থান নেবে এখনও স্পষ্ট নয়। দলের রাজ্য সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ঘোষণা করেছেন, সব আসনে প্রার্থী দিয়ে একা লড়বে দল। আবার অধীর নিজে বামেদের সঙ্গে জোটের পক্ষে। দলের একটা বড় অংশ আবার বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট চায়। সেই অবস্থান স্পষ্ট না হওয়ায় এখনই এআইসিসি বাংলায় বড় কোনও প্রচারসূচি নেবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
