shono
Advertisement
Karnataka

কর্নাটকে বুলডোজারে ভাঙা হচ্ছে সংখ্যালঘুদের বাড়ি? হস্তক্ষেপ হাই কমান্ডের, কড়া বার্তা সিদ্দারামাইয়াকে

রাজ্য প্রশাসনে 'হস্তক্ষেপ' করার জন্য বেণুগোপালের সমালোচনা করেছে বিজেপি।
Published By: Anustup Roy BarmanPosted: 10:22 AM Dec 28, 2025Updated: 10:22 AM Dec 28, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেঙ্গালুরু শহরতলির একটি বস্তির ২০০ বাড়ি বুলডোজার ধূলিসাৎ করা হয়েছে। রাতারাতি গৃহহীন হয়ে পড়েছে ৪০০ পরিবার। যাদের অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের। এই ঘটনায় তড়িঘড়ি আসরে নামল কংগ্রেস হাই কমান্ড। বিরোধীদের চাপের মুখে রাজনৈতিক ক্ষতি এড়াতে সিনিয়র নেতারা প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে আরও বেশি সংবেদনশীল হওয়ার নির্দেশ।  

Advertisement

ইয়েলহাঙ্কার কাছে কোগিলু গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের উচ্ছেদের ঘটনায় শনিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারের সঙ্গে কথা বলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। ভেনুগোপাল বলেন, অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পরেছে। দলের দাবি, এই ধরনের পদক্ষেপের জন্য আরও বেশি সতর্কতা, সংবেদনশীলতা এবং সহানুভূতির প্রয়োজন। বেণুগোপাল বলেন, সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার দু'জনেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশপাশি, ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পুনর্বাসন ও ত্রাণ নিশ্চিত করবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। 

বিজেপি নেতা আর অশোক রাজ্য প্রশাসনে 'হস্তক্ষেপ' করার জন্য বেণুগোপালের সমালোচনা করেছেন, একে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর অপমান বলেন তিনি। বিজেপি নেতার দাবি, "কর্ণাটকের প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করার কেসি বেনুগোপাল কে? তিনি কি একজন সুপার সিএম, নাকি কংগ্রেস হাইকমান্ড বিশ্বাস করে যে রাজ্য সরকারগুলি দিল্লির নির্দেশে কাজ করে?" অশোক দাবি করেন, সাংবিধানিক ভূমিকা ছাড়াই দলীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশের পরিবর্তে, মানবিক সমস্যাগুলি আইন এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

গত ২২ ডিসেম্বর ভোর চারটে নাগাদ কোগিলু গ্রামের ফকির কলোনি এবং ওয়াসিম লেআউট এলাকায় বুলডোজার অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। প্রায় দেড়শো পুলিশের পাহারায় চারটি জেসিবি মেশিন ব্যবহার করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় দুশোর বেশি বাড়ি-ঝুপড়ি। অভিযোগ, এর ফলে কনকনে শীতের রাতে ৪০০টি পরিবার আচমকা গৃহহীন হয়ে পড়ে। যদিও কর্নাটক সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে, উর্দু সরকারি স্কুল সংলগ্ন একটি বড় জলাশয়ের কাছে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। যদিও হঠাৎ বিড়ম্বনায় পড়া বাসিন্দাদের দাবি করেছেন, আগাম নোটিস ছাড়াই পুলিশ বলপূর্বক তাদের উৎখাত করেছে।

আচমকা উৎখাত অভিযানের জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার। গৃহহীন বাসিন্দারা সপ্তাহজুড়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আসরে নামল কংগ্রেস হাই কমান্ড।
  • রাজনৈতিক ক্ষতি এড়াতে সিনিয়র নেতারা প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ করছেন।
  • কথা বলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল।
Advertisement