সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। রবিবার সকাল ১১টার সময় দিল্লির লোধি রোডে সিবিআই সদর দপ্তরে হাজিরা দেন আপ সুপ্রিমো। তার আগেই অবশ্য আপ সদর দপ্তরে শক্তিপ্রদর্শন করেন কেজরি। অভিযোগ করেন, বিজেপি যদি নির্দেশ দেয়, তাহলে সিবিআই (CBI) তাঁকে গ্রেপ্তারও করতে পারে।
দলীয় দপ্তরে সাংবাঁদিক বৈঠক থেকেই অবশ্য বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কেজরি বলেন,”বিজেপি (BJP) এখন ক্ষমতার নেশায় মগ্ন। ওরা কাউকে কেয়ার করে না। সেটা রাজনীতিবিদ হোক, বিচারকরা হোক বা সংবাদমাধ্যম। বিজেপি চাইলে আজ আমাকে গ্রেপ্তারও করতে পারে সিবিআই। যারা এদের কথা শোনে না, তাদের সবাইকে এরা জেলে পাঠাতে পারে। ওরা নির্দোষদেরও ছাড়ে না।” দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “ওরা বলছে আমি নাকি দুর্নীতিগ্রস্ত। আমি ট্যাক্স কমিশনার ছিলাম। দুর্নীতিগ্রস্ত হলে কোটি কোটি টাকা রোজগার করতে পারতাম। কেজরিওয়াল দুর্নীতিগ্রস্ত হলে গোটা বিশ্বে কেউ সৎ নয়।”
[আরও পড়ুন: গুলি চালানোর সময় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, আতিকের থেকেও বড় গ্যাংস্টার হতে চেয়েছিল হত্যাকারীরা]
আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ছিল। সেইমতো রবিবার সকালেই আম আদমি পার্টির (AAP) সদর দপ্তরে ভিড় জমাতে থাকেন কেজরির সমর্থকরা। শুধু দিল্লি নয়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় থেকেও কেজরিওয়ালের সমর্থনে হাজির হন বহু আপ নেতাকর্মীরা। ছিলেন আপ শাসিত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও। পরিকল্পনা ছিল কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সিবিআই অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর, কিন্তু শেষে সেই পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি। সিবিআই অফিসে কাছে যাওয়ার আগে কাশ্মীরি গেটেই আটক করা হয় আপ সমর্থকদের।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার মৃত্যু’, আতিক খুনে সরব বিরোধীরা]
দলীয় দপ্তরের সামনে প্রথমে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেজরি। তারপর রাজঘাটে যান মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে। রাজঘাট (Rajghat) থেকে সিবিআই দপ্তরে যান তিনি। ঢোকার মুখেও তিনি অভিযোগ করেন, “সিবিআই বিজেপি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ওদের সব প্রশ্নের উত্তর আমি দেব।”