shono
Advertisement

বিজেপি নেতার ‘আল্লা বধির’মন্তব্যের জবাব, জেলাশাসকের দপ্তরের বাইরেই আজান বিক্ষুব্ধদের

বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের পুলিশের।
Posted: 07:56 PM Mar 19, 2023Updated: 08:00 PM Mar 19, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজান বিতর্কে উত্তপ্ত কর্ণাটক (Karnataka)। ক’দিন আগে কর্ণাটকের বিজেপি (BJP) বিধায়ক কেএস এশয়ারাপ্পা (KS Eshwarappa) মন্তব্য করেন, আল্লা হয়তো বধির। সেই কারণেই মসজিদে লাউডস্পিকার লাগিয়ে আজান দেওয়া হয়! গেরুয়া নেতার এই মন্তব্যে ফুঁসে উঠেছে কর্ণাটকের শিবামোগ্গা জেলার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁরা এর প্রতিবাদে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে আজান দিলেন। এইসঙ্গে এশয়ারাপ্পার মন্তব্যের বিরোধিতায় স্লোগান দেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া বিক্ষোভকারীদের।

Advertisement

প্রকাশ্যে এসেছে এই ঘটনার ভিডিও। সেখানে দেখা গিয়েছে, একদল যুবক জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে দাঁড়িয়ে আজান দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দেন, একইভাবে বিক্ষোভ দেখানো হবে বিধান সৌধের সামনে। এক প্রতিবাদী বলেন, “এশয়ারাপ্পা যদি আমাদের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতেন, তাও মেনে নিতাম। কিন্তু উনি আল্লা এবং আজান নিয়ে মন্তব্য করেছেন। প্রয়োজনে আমরা বিধান সৌধের সামনে আজান দেব। আমরা ভিতু নই। এই বিষয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের সকলের একজোট হওয়া উচিত।”

[আরও পড়ুন: অনুব্রতর ‘চাপে’ই ১৫ কোটির সম্পত্তি অল্পদামে সুকন্যাকে বিক্রি! ইডির জেরায় বিস্ফোরক মণীশ]

এই ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হলেও কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। শিবামোগ্গার এসপি বলেন, “যুবকদের বোঝানো হয়েছে এই কাজ যেন আর না করেন। তদন্ত হচ্ছে। সন্দেহজনক কিছু পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই ঘটনায় জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী ( HD Kumaraswamy) তোপ দেগেছেন বিজেপিকে। তাঁর কথায়, সংবেদনশীল বিষয়ে লাগামছাড়া মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর জন্য ওরাই (বিজেপি) দায়ী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করায় গেরুয়া নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন কুমারস্বামী।

উল্লেখ্য, ক’দিন আগে প্রাক্তন মন্ত্রী কে এস এশয়ারাপ্পা (KS Eshwarappa) মসজিদের কাছে এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। তখনই লাউডস্পিকার থেকে ভেসে আসে আজানের শব্দ। এর প্রতিক্রিয়াতে বিজেপি বিধায়ক বলেন, “আমি যেখানেই যাই, এর (আজান) জন্য মাথাব্যথা হয়।” এখানেই থামেননি তিনি। আল্লা কি বধির? সে প্রশ্নও তোলেন। “মন্দিরে মহিলারা প্রার্থনা করে, ভজন করে। আমরাও ধর্ম মানি। কিন্তু তার জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করতে হয় না। প্রার্থনার জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহারের মানে হল আল্লা বধির।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement