গৌতম ব্রহ্ম: সংখ্যালঘুদের উপর ভয়াবহ নির্যাতন চলছে ইউনুসের বাংলাদেশে। বিনা বিচারে জেলবন্দি ওপারের সংখ্যালঘু মুখ সন্ন্যাসী চিন্ময়স্বামী। মৌলবাদের আগুনে জ্বলতে থাকা এহেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাই এবার হিন্দুদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব মহাকুম্ভে। শনিবার সন্ধ্যায় মহাকুম্ভ উপলক্ষে আয়োজিত সরকারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশের শিল্পীরা। প্রয়াগরাজে আয়োজিত এই উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নন্দগোপাল গুপ্তা।
১৩ জানুয়ারির থেকে শুরু হয়েছে হিন্দুদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব মহাকুম্ভ। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। একের পর এক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জেরে কুম্ভ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এই ধর্মীয় উৎসবের শেষ লগ্নে এবার বাংলাদেশের যোগদান নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে প্রয়াগরাজের এক পোস্টার। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্নয়ে ১০ তম ভারত-আন্তর্জাতিক গান ও নৃত্য উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে প্রয়াগরাজে। ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি দুদিন ধরে চলবে এই অনুষ্ঠানে। ১১টি দেশের ১৩টি দল অংশ নিচ্ছে অনুষ্ঠানে। ভারত তো বটেই থাকছে বাংলাদেশ, ফিজি, কারযাজস্তান, মালয়েশিয়া, মলদ্বীপ, মঙ্গলিয়া, রাশিয়া, রাওয়ান্দা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভিয়েতনাম। প্রয়াগরাজের সঙ্গম এলাকার সেক্টর ১-এ বসছে এই অনুষ্ঠানের আসর। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নন্দগোপাল গুপ্তার পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিশিষ্ট অতিথিরা।
এই ব্যানার প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। একদিকে যখন যে বাংলাদেশের মাটিতে ইউনুস সরকারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। নৃশংসভাবে চলছে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ। সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, হাসিনা সরকারের পতনের পর মাত্র ৫ মাসে বাংলাদেশে খুন হয়েছেন ৩২ জন হিন্দু। এছাড়া মহিলাদের ধর্ষণ, মন্দির, বাড়ি, দোকান ভাঙচুর ও দখলের অরাজকতা চলছে। সব জেনেও চোখ বুজে রয়েছেন ইউনুস। অভিযোগ উঠছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ইন্ধনেই চলছে এই সব কর্মকাণ্ড। এই ঘটনার বিরোধিতায় বার বার সরব হয়েছে ভারতও। ফলে এক দিকে যখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন চরম আকার নিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের ভারতের সাংস্কৃতিক উৎসবে আমন্ত্রণ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অমিত শ্রীবাস্তব জানান, বিদেশী শিল্পীরা সবাই ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছেন। তাঁরা দুর্গের উল্টোদিকে আরাইলের দিকের ঘাট সংলগ্ন গেস্ট হাউজে রয়েছেন। এখানে অনুষ্ঠান করেছেন দেশের প্রথম সারির বহু শিল্পীরা। যেমন, শঙ্কর মহাদেবন, পার্বতী দাস বাউল, বিশ্বমোহন ভাট। ২৩ ফেব্রুয়ারি সঙ্গীত পরিবেশন করবেন কৈলাশ খেড়। তার আগে বাংলাদেশ-সহ ১১ দেশের অনুষ্ঠান হবে প্রয়াগরাজের গঙ্গা প্যান্ডেল নামের মঞ্চে।
