shono
Advertisement
Bangladesh issue

সংসদে বাংলাদেশ ইস্যু: শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর আর্জি সুদীপের, বিজেপির নিশানায় অনুপ্রবেশ

রাজ্যসভায় এনিয়ে সরব হন বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, অনুপ্রবেশের কারণে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকার জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 05:46 PM Dec 03, 2024Updated: 08:06 PM Dec 03, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মঙ্গলবার উঠল বাংলাদেশ ইস্যু। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন অনুযায়ী এদিন লোকসভায় শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর আর্জি জানালেন লোকসভার তৃণমূল দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজের জন্য রাষ্ট্রসংঘের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এদিন জিরো আওয়ারে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে উঠে দলনেত্রীর কথা অনুযায়ী সেই আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ। আলোচনায় পালটা বিজেপি সাংসদদের নিশানায় ছিল বাংলায় অনুপ্রবেশের অভিযোগ। লোকসভা ও রাজ্যসভায় এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ সরকার ও শমীক ভট্টাচার্য।

Advertisement

দিনের শুরুতে লোকসভায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বাংলাদেশ ইস্যুতে সরব হন। তাঁর প্রশ্ন, ''বাঙালি হিন্দু হওয়া কি অপরাধ? বাংলাদেশের যেভাবে রাষ্ট্রীয় মদতে বাঙালি হিন্দুদের চিহ্নিত করে তাঁদের উপর অপরাধ হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হলে আন্দোলনকারী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দিনের পর দিন অনুপ্রবেশকারীরা এসে আমাদের জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে।” তাঁর আরও অভিযোগ, “এগুলি হচ্ছে সরকার পক্ষের মতে। বিভিন্ন জেলায় সন্ত্রাস পরিস্থিতি আটকাচ্ছে না সরকার।” অন্যদিকে, রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যর অভিযোগ, খাস কলকাতাতেই রোহিঙ্গা শিবির গড়ে উঠেছে। যা নিয়ে ভ্রূক্ষেপ নেই রাজ্য সরকারের। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকার জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এর পর জিরো আওয়ারে এ বিষয়ে বক্তব্য রাখতে ওঠেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেন্দ্র অবিলম্বে রাষ্ট্রসংঘের সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠাক। প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন রুখতে তারা পদক্ষেপ নিক। উল্লেখ্য, সোমবারই বিধানসভায় এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিরক্ষা বাহিনী, রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ হওয়া নিয়ে বিবৃতির পাশাপাশি তিনি সংসদীয় দলের মাধ্যমে সরকারের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন। নেত্রীর নির্দেশ মেনে এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতন নিয়ে কেন্দ্রের জাতীয়তাবাদী সরকারের খুব সক্রিয় ভূমিকা এখনও পর্যন্ত চোখে পড়েনি। বিদেশমন্ত্রক বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কোনও কড়া বার্তাও পৌঁছয়নি ঢাকার কাছে। সংসদ চলাকালীন বাংলাদেশ নিয়ে বিবৃতি দিন প্রধানমন্ত্রী, এই দাবি তুলেছে তৃণমূল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement