সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। দেশজুড়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) নিয়ে তৈরি বিতর্কিত ওই তথ্যচিত্রটি। এই পরিস্থিতিতে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যচিত্রটি দেখাল এসএফআই। ‘জবাব’ দিতে আরএসএসের তরফে দেখানো হল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। এদিকে শুক্রবারই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখানোর কথা ছবিটি। বৃহস্পতিবার তিরুঅনন্তপুরমের শাঙ্গুমুঘাম সমুদ্র সৈকতে এর প্রদর্শন করেছে কংগ্রেস। তবে ওই তথ্যচিত্র নিয়ে কেরল কংগ্রেসের অন্দরে সংঘাতের কথাও জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে বিবিসির বিতর্কিত ছবি ঘিরে বিতর্ক থামার নাম তো নেই-ই। বরং তা বেড়ে চলেছে।
এই তথ্যচিত্র নিয়ে সবচেয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি বোধহয় তৈরি হল হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রায় ৪০০ পড়ুয়া দেখেছে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’। এরপরই এই প্রদর্শনের ‘জবাব’ দিতে একই দিনে এবিভিপি দেখাল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। এদিকে অভিযোগ, অনুমতি না নিয়েই তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন করেছে এসএফআই।
[আরও পড়ুন: রাহুলকে ২.১৭ কোটি টাকার BMW উপহার বিরাটের, আর কে কী দিলেন?]
পাশাপাশি কেরলে কংগ্রেসের উদ্যোগে এই তথ্যচিত্র দেখানো নিয়েও সমস্যা তৈরি হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি দেখানো নিয়ে হাত শিবিরের মধ্যেই বিতর্ক ঘনিয়েছে। কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল কে অ্যান্টনির মতে, এই তথ্যচিত্রে ভারতের সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। এমনকী সমস্ত দলীয় পদ থেকেও তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এরপরও অবশ্য তথ্যচিত্রটি দেখানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরেনি কংগ্রেস।
এদিকে শুক্রবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও তথ্যচিত্রটি দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন। কেবল তারাই নয়, ভীম আর্মি ও বেশ কয়েকটি পড়ুয়া সংগঠনও রয়েছে এই পরিকল্পনায়। তবে গত মঙ্গলবার এই তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি (JNU) ক্যাম্পাস। নিষেধাজ্ঞা সত্বেও ক্যাম্পাসের অন্দরেই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী শুরু হয়। সেখানেই জমায়েত হওয়া পড়ুয়াদের উপর পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির (ABVP) বিরুদ্ধে।