সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সংবিধানের মতোই এনসিইআরটি-র পাঠ্যপুস্তকে 'ইন্ডিয়া' ও 'ভারত' দুটোই পালা করে ব্যবহার করা হবে। এই নিয়ে কোনও বিতর্ক অর্থহীন। সোমবার এ কথা বললেন এনসিইআরটি (ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং) এর অধিকর্তা দীনেশপ্রসাদ সাকলানি।
সামাজিক বিজ্ঞানের পাঠ্যক্রম সংশোধন করতে গিয়ে উচ্চপর্যায়ের এক কমিটি প্রস্তাব দিয়েছিল যে, সমস্ত শ্রেণির জন্য স্কুলের পাঠ্যবইয়ে 'ইন্ডিয়া'র পরিবর্তে সেই জায়গায় 'ভারত' কথাটি ব্যবহার করা উচিত। এই প্রস্তাব নিয়েই শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। এবার এ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল এনসিইআরটি। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকলানি বলেন যে, দুটি শব্দই বইগুলিতে ব্যবহার করা হবে এবং কাউন্সিলের 'ইন্ডিয়া' বা 'ভারত'- এই শব্দ দুটির প্রতি কোনও বিদ্বেষ নেই। তাঁর কথায়, “এটি পরিবর্তনযোগ্য.. আমাদের অবস্থান এটাই যে, আমাদের সংবিধান যা বলে, আমরা তা ধরে রাখি। আমরা 'ইন্ডিয়া' ব্যবহার করতে পারি, আমরা 'ভারত'ও ব্যবহার করতে পারি, এতে সমস্যা কোথায়? আমরা সেই বিতর্কে নেই। যেখানে উপযুক্ত সেখানে আমরা 'ইন্ডিয়া' ব্যবহার করব, আবার যেখানে দরকার সেখানে আমরা 'ভারত' ব্যবহার করব।"
[আরও পড়ুন: ওয়ানড়ের সাংসদ পদে ইস্তফা রাহুলের, দাক্ষিণাত্য থেকে রাজনীতিতে প্রবেশ প্রিয়াঙ্কার]
উচ্চ-স্তরের কমিটি গত বছর সুপারিশ করেছিল, পাঠ্যপুস্তকে 'ইন্ডিয়া'র জায়গায় 'ভারত' লেখা উচিত। কমিটির চেয়ারপার্সন সি আই আইজ্যাক বলেছিলেন, পাঠ্যক্রমে 'প্রাচীন ইতিহাস'-এর পরিবর্তে 'শাস্ত্রীয় ইতিহাস' চালু করার প্রস্তাব দেন তিনি। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে মুখ খুললেন এনসিইআরটি-র অধিকর্তা। এদিকে, বাবরি ইতিহাস বাদ দেওয়া-সহ একাধিক ইস্যুতে এনসিইআরটিকে নিশানা করল কংগ্রেস। দলের অন্যতম মুখপাত্র জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, এনসিইআরটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, ক্ষমতাসীন দলের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মাথাপিছু ১০! ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে আসরে বিজেপির ৪০ তারকা প্রচারক]
অন্যদিকে, এনসিইআরটি-কে রীতিমতো আইনি হুমকি দিয়েছেন তাদের দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা সুহাস পালসিকর এবং যোগেন্দ্র যাদব। তাঁদের বক্তব্য, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পাল্টে ফেলার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যেন তাঁদের নামের আড়ালে ঢেকে দেওয়া না হয়। নবম থেকে দ্বাদশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের যে পাঠ্যক্রম তাঁরা সুপারিশ করেছিলেন তাতে দেশের ইতিহাস উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পাল্টে দেওয়াকে কোনওভাবেই সমর্থন করেননি। এই অবস্থায় যদি তাঁদের নামের আড়াল ব্যবহার করে পাঠ্যক্রম সুপারিশ করা হয় তাহলে এনসিইআরটি-র বিরুদ্ধে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।