সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। অথচ, তাঁকে এড়িয়ে গুজরাট নির্বাচনের আগে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন দলের প্রাক্তন সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপির দলীয় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শেষকথা তিনিই। বিজেপির অন্দরে অমিত শাহর এই দাপটকে একনায়কতন্ত্র বলে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী মাসের শুরুতেই দু’দফায় নির্বাচন গুজরাটে। সেরাজ্যে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার দরুন বিজেপির বিরুদ্ধে একটা প্রতিষ্ঠান বিরোধী শক্তি কাজ করছে। যদিও আমিত শাহর দাবি, তাতে ভোটের ফলাফলে কোনওরকম কোনও প্রভাব পড়বে না। রাজ্যে রেকর্ড আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। শুধু তাই নয়, এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, বিজেপি ফের সরকার গড়লে সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেলই (Bhupendra Patel)। গত বছর সেপ্টেম্বর পাসেই বিজয় রুপাণির (Vijay Rupani) বদলে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন ভুপেন্দ্র। আপাতত তাঁর উপরই ভরসা রাখছেন শাহ।
[আরও পড়ুন: বিমানের ভিতরেই ‘সমুদ্র গর্জন’! HIV পজিটিভ শিশুদের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নপূরণ জগন্নাথধামে]
তবে প্রশ্ন অন্য জায়গায়। এমনিতে যে কোনও রাজ্যে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেটা দলের বিধায়করা ঠিক করেন। আর যদি ভোটের আগে কাউকে মুখ হিসাবে তুলে ধরার দরকার পড়ে, তাহলে সেটাও সাধারণত বিজেপির সভাপতিই ঘোষণা করে থাকেন। এই মুহূর্তে বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। অথচ, তাঁকে উপেক্ষা করে অমিত শাহ গুজরাটে দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন। বিরোধীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, বিজেপি যতই অন্য রাজনৈতিক দলকে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিক, আসলে বিজেপির অন্দরেই একনায়কতন্ত্র চলছে। অমিত শাহ যেভাবে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ভুপেন্দ্র প্যাটেলের নাম ঘোষণা করে দিলেন, তাতে সেই অভিযোগ আরও জোরাল হল।
[আরও পড়ুন: প্রার্থী-ক্ষোভের আগুন গুজরাট কংগ্রেসে, প্রদেশ দপ্তরে ভাঙচুর চালাল একদল কর্মী]
ইতিমধ্যেই শাহকে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি টুইটে বলেন,”বিজেপিতে আসলে সবাই নীরব। শুধু একজনই কথা বলেন। অমিত শাহ গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন। অথচ জেপি নাড্ডা নীরবে সব শুনলেন।” এরপরই অভিষেকের খোঁচা, যাদের দলের অন্দরেই কোনও গণতন্ত্র নেই, তাদের হাতে দেশের ভার দিয়ে ভরসা করা যায় না।