সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারে সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মিলিত আসনসংখ্যা নেমে এসেছে মাত্র ৩৫টিতে। বিহারে এনডিএ সরকার গঠনের পর এবার সাধারণ মানুষকে কাছে টানতে উদ্যোগী হয়েছে নীতীশ সরকার। বিহার সরকার নাগরিকদের সাত নিশ্চয়-৩ এর অধীনে নীতি নির্ধারণের জন্য সরাসরি নিজেদের চাহিদা জানানোর সুযোগ দিচ্ছে। সকলের প্রতি শ্রদ্ধা, জীবনযাত্রা সহজ করার বিষয়ে নিজেদের পরামর্শ জানাতে বলা হয়েছে তাঁদের।
জানা গিয়েছে, এই উদ্যোগ দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে সহজ করার, সমাজের সকল শ্রেণীর জন্য নিরাপদ এবং অ্যাক্সেসযোগ্য পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য সকলের পরামর্শ চেয়েছে সরকার। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে দৈনন্দিন জিবনের সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করে নাগরিকদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান তৈরির চেষ্টা করবে সরকার।
বিশেষকরে প্রবীণ নাগরিক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য বিভিন্ন সার্টিফিকেট সরাসরি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া, হোম নার্সিং এবং বয়স্কদের যত্ন, শহর ও গ্রামীণ এলাকায় পথচারীদের জন্য নিরাপদ রাস্তা এবং হাসপাতালে মানবিক, দ্রুত এবং সংবেদনশীল চিকিৎসা পরিষেবার মতো বিষয়গুলিতে মতামত চেয়েছে সরকার।
এই ঘটনাকে 'ঐতিহাসি গণতান্ত্রিক পরীক্ষা' বলেছেন আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, এর মাধ্যমে সাধারণ জনগন এবার থেকে শুধু আর উপভোক্তা নন। তাঁরা এবার থেকে সরকারি যোজনা তৈরিতে সরাসরি ভূমিকা নেবেন। ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিহারকে উন্নত রাজ্যে পরিণত করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
নাগরিকরা তাদের পরামর্শ অনলাইনে QR কোডের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন অথবা ৪ জানুয়ারী, ২০২৬ এর মধ্যে ডাকযোগে অতিরিক্ত সচিব, ৪ দেশরত্ন মার্গ, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়, পাটনা - ৮০০০০১ ঠিকানায় পাঠাতে পারবেন। নাগরিকদের কাছ থেকে আসা সব তথ্য পরীক্ষা করে বাস্তবসম্মত সমাধানের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ডিসেম্বরের শুরুতে, নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) নেতৃত্বাধীন বিহার মন্ত্রিসভা 'সাত নিশ্চয়-৩' অনুমোদন করেছে। ২০২৫ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত সময়ের পরিকল্পনা নির্দিষ্ট করা হয়েছে এর মাধ্যমে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্যজুড়ে আয় এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য সরকারের রূপরেখা তুলে ধরে এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে এই কথা জানিয়েছেন। সিদ্ধান্তটি ভাগ করে নিয়েছেন।
