সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদের দুই কক্ষে বিনা আলোচনায় পাশ হয়ে গিয়েছিল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল (Bill to Cancel Three Farm Laws)। বাকি ছিল সেই বিলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ram Nath Kovind) স্বাক্ষর। বুধবার তাও হয়ে গেল। ফলে কৃষি আইন প্রত্যহার আইনি স্বীকৃতি পেল।
কৃষকদের লাগাতার আন্দোলনের পর গত ১৯ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। এরপর সোমবার শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষে বিনা আলোচনায় রেকর্ড গতিতে পাশ হয়ে যায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ২০২১। এদিন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল ২০২১-এ স্বাক্ষর করায় এই পর্ব সমাপ্তি হল।
[আরও পড়ুন: কাঁটা ওমিক্রন! ১৫ ডিসেম্বরও স্বাভাবিক হচ্ছে না আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা]
বিরোধীদের দাবি, কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কৃষক পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তাঁরা গত বছর নভেম্বর মাস থেকে ‘কালা কানুনে’র বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন। এদিকে সামনেই উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে ভোট রয়েছে। নির্বাচনে বিজেপিকে যাতে কৃষক পরিবারগুলির রোষানলে না পড়তে হয়, সেই ভাবনা থেকেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের মতো ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।
এদিকে আজই কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কৃষক আন্দোলনে একজন কৃষকও মারা গিয়েছে, এমন তথ্য তাদের কাছে নেই। বুধবার সংসদকে লিখিতভাবে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Agriculture Minister Narendra Singh Tomar)। কার্যত আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যুর কথা অস্বীকারই করেছে মোদি সরকার।
[আরও পড়ুন: পরিবার নেই, স্বজন হারানোর বেদনা বোঝেন না যোগী! অখিলেশের মন্তব্যে ঘনাল বিতর্ক]
সংসদে কৃষক মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কী তথ্য আছে? মৃত কৃষকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে কিনা, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেস-তৃণমূল-সহ অন্য বিরোধী দলের সাংসদেরা। তারই উত্তরে এদিন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী জানিয়ে দেন, “আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যু হয়েছে, এমন তথ্য নেই কৃষিমন্ত্রকের কাছে। ফলে কোনওরকম অনুদানেরও প্রশ্নও ওঠে না।”