সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রর কোপে উধাও হয়েছে লালবাতি। কিন্তু ভিআইপি কালচার যেন যাওয়ার নয় এই দেশ থেকে। সর্বসাধারণের মতোই জীবনযাপন করুক জনপ্রতিনিধিরা। এমনটাই চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তা মানছে কে? এমনই এক চিত্র ধরা পড়ল ওড়িশার মালকানগিরিতে। রাজ্যের শাসকদল বিজু জনতা দলের স্থানীয় বিধায়ক মানস মাদকামি গোড়ালিসমান জল পার হতে সমর্থকদের ঘাড়ে চাপলেন। আর তাতেই বিতর্ক। বিধায়কের গোড়ালিসমান জল পার হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই সর্বত্র নিন্দার ঝড় বয়েছে। স্রেফ সাদা জুতো ঝকঝকে রাখতেই জলে পা রাখতে চাননি ওই বিধায়ক। তাই সমর্থকদের ঘাড়ই ছিল ভরসা। কিন্তু এহেন ভিআইপি কালচার ফের প্রশ্নের মুখে।
বেশ কিছুদিন আগে মধ্যপ্রদেশে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এই কাজটাই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। গোড়ালিসমান জল পার হওয়ার জন্য সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের ঘাড়ে চেপেছিলেন তিনি। তখনও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। যেখানে রাজ্যের মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কীভাবে সামান্য গোড়ালিজল পেরতে নিরাপত্তারক্ষীদের ঘাড়ে চাপেন তিনি, উঠেছিল প্রশ্ন।
[খবরের জের, মধ্যপ্রদেশের অভাবী কৃষকের পাশে প্রশাসন]
মঙ্গলবার একইরকম দৃশ্য দেখাল যায় মালকানগিরিতেও। বিধায়ক এবং নবরংপুরের সাংসদ বলভদ্র মাঝি মোটু পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি কাজকর্মের হালহকিকত দেখতে গিয়েছিলেন। বিধায়কবাবু তো শ্বেতশুভ্র ধোপদুরস্ত পোশাকে ছিলেন। কিন্তু কাদা, গোড়ালিজল তাঁর সাদা জুতো নোংরা করুক এমনটা চাননি তিনি। অগত্যা সমর্থকরাই ঘাড়ে করে তাঁকে জল পেরতে সাহায্য করেন। কিন্তু সাংসদ কিন্তু সেই কাজ করেননি। বরং জলকাদা নিজ পায়েই পেরোন তিনি। এমন নেতাসুলভ কাজে যখন রোষের মুখে, তখনই আত্মপক্ষ সমর্থনে বিধায়কের সাফাই। বিধায়কের প্রতি অকুন্ঠ ভালবাসা থেকেই নাকি এমনটা করেছেন সমর্থকরা। তিনি নিজে নাকি এমনটা করতে বলেননি। তবে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। বিধায়কের কীর্তির ভিডিও ভাইরাল হতেই মুখ পুড়েছে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের দলের।
[জানেন, এই VVIP গাছের পিছনে মধ্যপ্রদেশ সরকারের খরচ কত?]
The post গোড়ালিজল পেরতে সমর্থকদের ঘাড়ে চাপায় বিতর্কে বিধায়ক appeared first on Sangbad Pratidin.