সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটমুখী দিল্লিতে আপের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বিজেপির। ভোট আদায়ের লক্ষ্যে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দিল্লির বস্তিতে পাঞ্জাবিদের দিয়ে চিনা সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী প্রবেশ ভর্মার। সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে এই বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানালেন তিনি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন, ''ভোট উপলক্ষে গোটা পাঞ্জাবকে দিল্লিতে এনে বসিয়েছেন কেজরি। পাঞ্জাবে কোনও কাজ হচ্ছে না। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, বিধায়ক সকলে দিল্লিতে এসে হাজির হয়েছেন। সমস্ত গেস্ট হাউস বুক করা হয়েছে। পাঞ্জাব থেকে এখানে এসে তাঁরা কিন্তু ভোটের প্রচার করছেন না। এখানকার মানুষকে কেনার চেষ্টা করছে। আজ দিল্লি পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। যার মধ্যে একজন নিজেকে পাঞ্জাবের সরকারি শিক্ষক বলে দাবি করেন। এরা এখানকার পরিবেশ খারাপ করার চেষ্টা করছে।"
এর পরই তিনি অভিযোগ করেন, "নয়াদিল্লিতে কেজরি যেহেতু কোনও কাজ করেননি তাই এখন বস্তিতে গিয়ে পাঞ্জাবের কনট্রাক্টর ও কর্মীদের এনে চিনা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাচ্ছেন।" এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "সামনে ২৬ জানুয়ারি। তার আগে এই ভিভিআইপি জায়গায় চিনা ক্যামেরা লাগাতে শুরু করেছেন কেজরি। উদ্দেশ্য বস্তিবাসীরা যাতে তাঁকে ভোট দেন। তবে এই ঘটনা দেশের রাজধানীর নিরাপত্তার জন্যও উদ্বেগজনক। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করব এই ঘটনা সরাসরি আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন। অবিলম্বে কমিশন যে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেন।"
নয়াদিল্লি আসনে কেজরির প্রতিদ্বন্দ্বী প্রবেশ ভর্মার এহেন অভিযোগের পালটা তোপ দাগা হয়েছে আপের তরফে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেন, "দিল্লি দেশের রাজধানী। এখানে দেশের যে কোনও রাজ্যের মানুষের আসার অধিকার রয়েছে। সেখানে পাঞ্জাবিদের এভাবে অপমান করার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এখানে পাঞ্জাবি গাড়িগুলি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন তাঁরা এখানে এসেছেন? ওরা বলছে পাঞ্জাবিরা দেশের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের। এরা আমাকে তো বটেই প্রতিটি পাঞ্জাবিকে অপমান করছে।" স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, 'দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত নয়, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাতে দেশ ভরে গিয়েছে। তাতে কোনও সমস্যা নেই আপনাদের? অথচ পাঞ্জাবিরা দিল্লিতে আসলে তাঁরা নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের। এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত আপনাদের।'
