সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) উন্নাও (Unnao) ধর্ষণ কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেনগারের (Kuldeep Singh Sengar) স্ত্রী সংগীতার টিকিট বাতিল করল বিজেপি। দিন দু’য়েক আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেওয়ার কথা ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির। এরপর উন্নাওয়ের নির্যাতিতার পরিবার হুমকি দেয়, সংগীতা ভোটে দাঁড়ালে তারা পালটা প্রচারে নামবে। কার্যত চাপে পড়ে সংগীতার নাম তুলে নেয় বিজেপি।
সামনেই যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে পঞ্চায়েত ভোট। সেখানে ফতেপুর চৌরাসি আসনে সংগীতার নাম ঘোষণা করে বিজেপি। তার পরেই গোটা দেশে সমালোচনা শুরু হয়, প্রশ্ন উঠতে থাকে একজন ধর্ষক, যাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে, আর তার স্ত্রীকে কী করে আবার টিকিট দেয় বিজেপি। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, উত্তরপ্রদেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিং ও সচিব সুনীল বনশলই সংগীতা প্রার্থী পদে সিলমোহর দেন। আসলে কুলদীপ ও তার ভাই জেলে থাকলেও ওই এলাকায় এখনও তাদের পরিবারের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এবং ২০১৮ সালে কুলদীপের গ্রেপ্তারির পর থেকে এলাকায় তাদের পরিবারের উপরে অনেকেরই একটা সহানুভূতি তৈরি হয়। এমনকী অনেকে এও মনে করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই ফাঁসানো হয়েছে কুলদীপদের। ফলে সেই সহানুভূতিকে ভোট বাক্সে কাজে লাগাতেই সংগীতাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: মালদহে কংগ্রেস প্রার্থী ও সাংসদের গাড়িতে পতাকা হাতে হামলা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে]
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উন্নওয়ের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় এখন জেল খাটছে কুলদীপ। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার বাবাকে খুনের দায়েও দোষী সাব্যস্ত হয়েছে প্রাক্তন এই বিজেপি বিধায়ক। এই মামলার দোষী সাব্যস্ত হয় কুলদীপের ভাই অতুল সেনগার এবং আরও ৬ জন। তারাও জেলে রয়েছে। বর্তমানে কুলদীপ তিহার জেলে। ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠার পর তাকে দল বহিষ্কার করে বিজেপি। খারিজ হয় বিধায়ক পদও।
উন্নাওয়ের ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। কুলদীপকে দল থেকে বহিষ্কার করে কোনও রকমে মুখ রক্ষা করে। কিন্তু তার স্ত্রীকে টিকিট দিয়ে ফের সমালোচিত হয় যোগীর দল। কিন্তু চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সংগীতার টিকিট বাতিলের কথা ঘোষণা করতে হল।