সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থানের জয়পুরে কংগ্রেসের এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পরেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রের শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দাবি, ক্ষমা চাইতে হবে রাজ্যসভার সাংসদ এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বার বার ভোট চুরির অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। সেই অভিযোগকে সামনে রেখে রবিবার বিজেপির বিরুদ্ধে 'ভোট চোর গদি ছোড়' সমাবেশ হয় জয়পুরে। সেখানেই জয়পুর মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মঞ্জু লতা মীনার নেতৃত্বে একটি দলকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। মোদির বিরুদ্ধে 'কবর খোঁড়ার' স্লোগান দিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছেন তিনি। এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী কর্মসংস্থান, যুবসমাজ, মহিলা বা কৃষকদের নিয়ে কথা বলেন না। তিনি এই বিষয়গুলি থেকে মনোযোগ সরিয়ে রাখেন।
এই ঘটনার পরেই প্রতিবাদ শুরু করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা সরব হয়েছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী এবং রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খারগের বিরুদ্ধে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন নাড্ডা। সোমবার রাজ্যসভায় নাড্ডা বলেন, "গতকাল কংগ্রেসের এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে যে স্লোগান তোলা হয়েছে তা দলের প্রকৃত চিন্তাভাবনা এবং মানসিকতার প্রমাণ। দেশের প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করা অত্যন্ত নিন্দনীয়।" তিনি আরও বলেন, "এই ঘটনায় সোনিয়া গান্ধী এবং বিরোধী দলনেতার ক্ষমা চাওয়া উচিত।"
পাশাপাশি, প্রতিবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। এক সাংবাদিক সম্মেলনে খারগের ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলে তিনি বলেন, "সংসদের দুই কক্ষেই তাঁদের লিখিত ক্ষমা চাওয়া উচিত।" তাঁর দাবি, "কংগ্রেস এবং বিজেপির কর্মীরা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু শত্রু নন।"
যদিও, কংগ্রেস নেতা মনিকাম টেগরের দাবি, এই সমাবেশ বিজেপি অন্দরে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা কংগ্রেসকে আক্রমণ শুরু করেছে।
কংগ্রেসের এই স্লোগানের থেকে নিজেদের দুরত্ব তৈরি করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের জোটসঙ্গি সপা এবং এনসিপি (এসপি)র দাবি, 'আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু সাংবিধানিক পদে যাঁরা আছেন তাদের সম্পর্কে কথা বলার সময় আমাদের সংযত থাকা উচিত।' এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিল জানিয়েছেন, এই স্লোগান দেওয়া 'ঠিক নয়'। তিনি আরও বলেন, "যাই হয়ে যাক, তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী।"
