সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে জনসংখ্যার অনুপাত ধরে রাখতে কিছু দিন আগেই পরিবারপিছু তিন সন্তানের কথা বলেছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। বস্তুত সংঘের প্রস্তাবিত নয়া নীতি হচ্ছে ‘হাম দো, হামারে তিন।’ এবার সেই নীতি হিন্দুদের একপ্রকার বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ করার পরামর্শ দিলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেত্রী নবনীত রানা। তিনি বলছেন, মৌলবিদের চারটে করে স্ত্রী, ১৯টি করে সন্তান থাকে। তাই পাল্লা দিতে হিন্দুদেরও বাড়াতে হবে সন্তানের সংখ্যা।
মহারাষ্ট্রের ওই বিজেপি নেত্রীর বক্তব্য, মুসলিমরা খোলাখুলি ৪ স্ত্রী, ১৯-২০টি সন্তান ধারণ করছে। আসলে ভারতকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করছে ওরা। নবনীত রানা বলছেন, "ভারতকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র বানচাল করতে সব হিন্দুদের অন্তত ৩-৪টি করে সন্তান নেওয়া উচিত। আমি সব হিন্দু ভাইবোনেদের অনুরোধ করব, আপনারা ৩-৪ সন্তান গ্রহণ করুন। একটি মাত্র সন্তান নিয়ে থেমে থাকছেন কেন? ভারতকে পাকিস্তান বানানোর ছক বানচাল করে দিন।"
বস্তুত নবনীত যে কথা বলছেন, সেটা আরএসএসের এজেন্ডারই প্রতিফলন। কিছুদিন আগে সরসংঘপ্রধান মোহন ভাগবত এক সভায় বলছেন, “ভারতের জনসংখ্যা নীতিতে ২.১ সন্তান জন্মের পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে, এর অর্থ একটি পরিবারে দু’টি নয় তিনটি সন্তান থাকা উচিত। প্রতিটি নাগরিকের লক্ষ্য হওয়া উচিত তার পরিবারে যেন তিন সন্তান থাকে।” সংঘপ্রধানের বক্তব্য, জনসংখ্যা দেশের সম্পদ। তাই সেটার হার যাতে কমে না যায়, তা নিশ্চিত করা নাগরিকদের কর্তব্য। তাঁরও মূল উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুদের মধ্যে বেশি সন্তানের আগ্রহ তৈরি করা। একই সুরে কথা বলছেন নবনীত রানা।
যা নিয়ে বিতর্কও চরমে। কংগ্রেস নেতা মাণিকম ঠাকুর বলছেন, "এই ধরনের কথা স্রেফ বিদ্বেষ আর কুসংস্কার থেকে বলা। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। জনসংখ্যা বা সন্তান ধারণ সবটাই নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুযায়ী হওয়া উচিত।" কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, সংঘের আদর্শ চাপিয়ে দেশকে পিছিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি।
