shono
Advertisement
Noida

'মা, আমি হেরে গেলাম, আর টাকা খরচ কোরো না', আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া!

পড়াশোনার চাপে আত্মহত্যা পড়ুয়ার!
Published By: Saurav NandiPosted: 04:11 PM Dec 24, 2025Updated: 04:24 PM Dec 24, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল নয়ডায়। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা, "মা, আমার লেখাপড়ার জন্য আর টাকা খরচ কোরো না। আমি আর টানতে পারছি না!"

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম আকাশদীপ। তিনি দিল্লি টেকনিক্যাল ক্যাম্পাসের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। এমনিতে বিহারের বাসিন্দা, তবে পড়াশোনার কারণে থাকতেন গ্রেটার নয়ডার নলেজ পার্ক এলাকার একটি বেসরকারি হস্টেলে। সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। পুলিশ জানায়, রুমমেট ঘরে না থাকার সুযোগ নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আকাশদীপ। পরে সেই রুমমেট ফিরে এসে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আকাশদীপকে। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ জানিয়েছে, হস্টেলে আকাশদীপের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। তাতে লেখা, "মা, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে আমি যা করেছি, এখানে সেটা করতে চাই না। আমি এখানে বছর নষ্ট করতে চাই না। আমি হার স্বীকার করে নিচ্ছি। আমি এখানে চার বছর থাকতে পারব না। আমার পিছনে পয়সা নষ্ট কোরো না। আমিও তোমাদের কোনও মিথ্যা আশা দেখাতে চাই না। তাই সব শেষ করে দিলাম। ১১-১২ ক্লাসে আমার ফল খুব খারাপ ছিল। আমি চাই না, এখানেও সেটা হোক। দুঃখিত!"

মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কারও হাত নেই বলেও সুইসাইড নোটে লেখা হয়েছে। বলা হয়েছে, "মা-বাবা, আমি ক্ষমা চাইছি। আমি সত্যিই দুর্বল। এটা ভেবো না যে, অন্য কারও জন্য এটা করছি। আমার মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী। এটা নিয়ে আর কাউকে কিছু বোলো না।"

পুলিশ আধিকারিক অরবিন্দ কুমার চাহাল বলেন, "ছেলেটি বিহারের বাসিন্দা। আমরা একটা সুইসাইড নোট পেয়েছি। তাতে দেখা যাচ্ছে, উনি পড়াশোনার চাপে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ যা করার করছে।"

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল নয়ডায়।
  • উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও।
  • তাতে লেখা, "মা, আমার লেখাপড়ার জন্য আর টাকা খরচ কোরো না। আমি আর টানতে পারছি না!"
Advertisement