সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাকুম্ভ শেষ হলেও ধর্মের দড়ি টানাটানি অব্যাহত রইল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। ১৪৪ বছর পর হওয়া মহাকুম্ভ তো বটেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে যোগ না দেওয়ায় তাঁদের হিন্দু বিরোধী বলে তোপ দাগল বিজেপি। পালটা কংগ্রেসের তরফে তালিকা প্রকাশ্যে আনা হল বিজেপি ও এনডিএ শিবিরের কোন কোন নেতা মহাকুম্ভের পুণ্যস্নান এড়িয়েছেন।

রবিবার গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই আবহেই এদিন কংগ্রেস তথা গান্ধী পরিবারকে তোপ দেগে সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে বিজেপি। যেখানে লেখা হয়, 'শত শত বছরের লড়াইয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে গত বছরের ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। সেই উৎসবে কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও রামমন্দির নির্মাণের বিরোধী করা এই নেতারা সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। এটা প্রমাণিত সত্য যে কংগ্রেস নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক ও তুষ্টিকরণ জারি রাখতে চিরকাল হিন্দুদের আস্থায় আঘাত করেছে।' এই পোস্টের সঙ্গে সোনিয়া, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ছবি-সহ একটি পোস্টার প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
পাশাপাশি বিজেপি মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারী অভিযোগ করেন, 'রাহুল গান্ধীর পুরো পরিবার হিন্দু বিরোধী। তাঁরা বাবরের নির্মিত মসজিদে (অযোধ্যার বাবরি মসজিদ) তিনবার গিয়েছেন, কিন্তু রামের দর্শনে যাওয়ার সময় হয়নি। রাহুল প্রায়ই রায়বরেলি যান। কিন্তু প্রয়াগরাজে (মহাকুম্ভে) যান না। যা রায়বরেলি থেকে মাত্র ২ ঘণ্টা ২ মিনিটের দূরত্বে।'
বিজেপির এহেন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর পালটা সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন মুল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র প্রিয়ং খাড়গে। সদ্য শেষ হওয়া হিন্দুদের প্রবিত্র উৎসব মহাকুম্ভে না যাওয়া 'হিন্দু বিরোধী' বিজেপি ও এনডিএ শরিকদের তালিকা তুলে ধরেন তিনি। লেখেন, 'অর্ধেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দেশের অর্ধেকের বেশি বিজেপি বিধায়ক এবং বেশিরভাগ আইটি সেলের যোদ্ধারা এবার কুম্ভ স্নানে যাননি।' পাশাপাশি বিজেপির শরিকদের নাম তুলে ধরে লেখেন, নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইডু, কুমারস্বামী ও অজিত পাওয়াররাও এবার কুম্ভে যাননি। এবং উল্লেখযোগ্য, আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও স্নান এড়িয়েছেন। তাহলে কী আমাদের বলা উচিত এরা সকলে হিন্দুদের ঘৃণা করেন?'