সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবার নির্বাচনে জয় পেলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা (Manik Saha)। টাউন বড়দোয়ালি কংগ্রেস প্রার্থীকে ৬ হাজার ভোটে পরাজিত করেছেন তিনি। অন্যদিকে আগরতলা কেন্দ্রে জয়ী কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন (Sudip Roy Barman)। বাকি দু’টি কেন্দ্র যুবরাজ নগর এবং সুরমায় বিরোধীদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে বিজেপি। চার আসনেই তৃণমূল প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পথে।
রবিবার সকালে ভোটগণনার শুরু থেকে ট্রেন্ড স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। টাউন বড়দোয়ালির ভোটবাক্স খুলতেই এগিয়ে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী (Tripura CM)। গণনার শেষ রাউন্ডেও সেই ট্রেন্ডটা বজায় ছিল। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের আশিস সাহাকে হারিয়ে প্রায় ৬ হাজার ভোটে জয়ী হন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের হার ৫১ শতাংশ। কংগ্রেসের (Congress) ঝুলিতে এসেছে ৩৪ শতাংশ ভোট। চতুর্থ স্থানে থাকা তৃণমূল পেয়েছে ২.৯২ শতাংশ ভোট।
[আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপতি হলে কৃষক, শ্রমিক, বেকারদের পাশে দাঁড়াব’, বিরোধী নেতানেত্রীদের চিঠি যশবন্ত সিনহার]
আগরতলা কেন্দ্রে সহজ জয় পেলেন কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন। বিজেপি প্রার্থীকে ৩ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন তিনি। এই আসনেও চতুর্থ স্থানে তৃণমূল। প্রাপ্ত ভোটের হার ২.১ শতাংশ। সদ্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ। সঙ্গে ছিলেন আশিস সাহা। উপনির্বাচনে দু’ জনকেই প্রার্থী করে কংগ্রেস। সুদীপ নিজের ক্যারিশমায় আসন জিতিয়ে আনতে পারলেও ব্যর্থ হলেন মানিক সাহা।
অন্য দু’টি কেন্দ্রে যুবরাজ নগর এবং সুরমায় জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী। যুবরাজ নগরে বিজেপির মহিলা প্রার্থী মলিনা দেবনাথ ৪ হাজার ৫৭২ ভোটে সিপিএম প্রার্থীকে হারিয়েছেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ২.৯৮ শতাংশ অন্যদিকে ৫ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী স্বপ্না পাল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তিপ্রা মোথার প্রার্থী। এই কেন্দ্রে জোর লড়াই দেওয়ার আশা জাগিয়েছিল তৃণমূল। তবে তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার ৩.৩৯ শতাংশ।