সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে কেরলের বন্যা। এখনও পর্যন্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ গিয়েছে ৩৭ জনের। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এখনও ঘরছাড়া প্রায় ৫৪ হাজার মানুষ। ডুবে গিয়েছে মৎস্যজীবীদের দুটি নৌকা। চূড়ান্ত দুরবস্থায় কেরলবাসী। বিস্তির্ণ এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন। খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হচ্ছে অনেককে। পর্যাপ্ত খাবার কিংবা আশ্রয় থেকেও বঞ্চিত তাঁরা। এদিকে বন্যা দুর্গতরা ঠিকমতো ত্রাণ সাহায্য পাচ্ছেন কিনা, ইতিমধ্যেই আকাশপথে তা খতিয়ে দেখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। দুর্গতদের সাহায্যর্থ ১০০ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তবে, শনিবার থেকে অবস্থার সামান্য উন্নতি হচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে। গতকালের পর মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়েনি। আর কেরলের এমন ভয়ংকর রূপ দেখে মন খারাপ মহারাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ীর। কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কিংবা শিরোনামে উঠে আসার লোভে নয়, শুধুমাত্র মানবিকতার খাতিয়ে বন্যাত্রীদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি।
[হস্টেলে আটকে রেখে মেয়েদের ধর্ষণ, কাঠগড়ায় আরএসএস নেতা]
মহারাষ্ট্রের কম্বল ব্যবসায়ী বিষ্ণু। ব্যবসার খাতিরে ৫০টি কম্বল কিনেছিলেন। ঠিক ছিল কেরলে গিয়ে বাড়ি বাড়ি ফেরি করবেন সেগুলি। কিন্তু সে রাজ্যে পৌঁছাতেই ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে তাঁর মন। সাধারণ মানুষের এমন অসহায় পরিস্থিতি দেখে কম্বল বিক্রির সিদ্ধান্ত পালটে ফেলেন। ঠিক করেন, বন্যায় বিপর্যস্ত ঘরছাড়া মানুষদের হাতে বিনামূল্যে তুলে দেবেন কম্বলগুলি। যেমন কথা তেমন কাজ। জেলার কালেক্টরের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ৫০টি কম্বলই দিয়ে দেন। বিষ্ণুর কথা শুনে প্রথমে খানিকটা অবাকই হয়েছিলেন তিনি। জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর সবকটি কম্বল দান করে দিলে তাঁর সংসার চলবে কীভাবে? কিন্তু নিজের কথা ভাবেননি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মুখগুলিই ভেসে উঠেছিল তাঁর চোখের সামনে। জেলা কালেক্টর জানান, আদিচুকুট্টি স্কুলে থাকা বন্যা কবলিতদের মধ্যে কম্বলগুলি বিতরণ করে দেওয়া হয়।
বন্যা কবলিতদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। তার মধ্যে এটুকু সাহায্যের হাত বাড়িতে দিতে পারায় ভালই লাগছে বিষ্ণুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে মারাঠা ব্যবসায়ীর কীর্তির ছবি। এমন পদক্ষেপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
[এনআরসি ইস্যুতে মুখ খুলতেই মমতার বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত মোদি]
The post বন্যায় বিপর্যস্ত কেরল, ব্যবসা ভুলে কম্বল বিতরণ ফেরিওয়ালার appeared first on Sangbad Pratidin.