সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম বিমানসংস্থা ইন্ডিগোতে চরম বিশৃঙ্খলা। কার্যত ধসে পড়েছে সংস্থার পরিষেবা। শুক্রবারও দেশের প্রায় সমস্ত প্রান্তের সব অন্তর্দেশীয় বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। টানা ৩দিন ধরে অচলাবস্থা চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও ৭২ ঘণ্টা। ঠিক কী কারণে এমন গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হল তা খতিয়ে দেখতে এবার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে প্রয়োজনে শোকজও করা হবে ইন্ডিগোকে।
প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর (পিআইবি) তরফে এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু এই নির্দেশ দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেন এই বিপর্যয় তার কারণ অনুসন্ধান করার প্রয়োজন রয়েছে। যার জেরেই খোদ পরিবহণমন্ত্রী এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কেন? কার ভুলে এই পরিস্থিতি তৈরি হল তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে কথা মাথায় রেখেই এই তদন্ত।
কেন্দ্রের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সমস্ত ভুল খতিয়ে দেখে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র। প্রয়োজনে জবাব চাওয়া হবে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের কাছে। যাত্রীরা যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না-হন, তা নিশ্চিত করাই সরকারের অগ্রাধিকার। এর পাশাপাশি যাত্রীদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় এবং সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় ওই কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করা যাবে।
উল্লেখ্য, সমস্যার জেরে গত ৩ দিনে ইন্ডিগোর প্রায় ৩ হাজার ৪০০ উড়ান বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে শুক্রবারই বাতিল হয়েছে ৬০০ বিমান। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে অধিকাংশ বিমানবন্দরে আটকে রয়েছেন শ’য়ে শ’য়ে বিমানযাত্রী। কেউ অফিসের কাজে, কেউ চিকিৎসার জন্য, ইন্ডিগো বিমানে যাওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ করেই বিমান বাতিল হওয়ার কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি বহু যাত্রী। বুধবার থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রে শিডিউলে থাকা ৪৬৮টি বিমানের মধ্যে বাতিল হয়েছে ৯২টি বিমান, দেরিতে ওঠানামা করেছে ৩২০টি বিমান। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে এমন কোনও আশ্বাসও দিতে পারছে না বিমানসংস্থা। ইন্ডিগো জানিয়েছে, আপাতত আটকে পড়া যাত্রীদের সাহায্য করার চেষ্টা হচ্ছে।
