সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজার টানাপোড়েনের পর সোমবার কর্ণাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা (BS Yediyurappa)। প্রিয় নেতার পদত্যাগের খবর পেতেই আত্মহত্যা করলেন ৩৫ বছরের এক যুবক। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত ইয়েদুরাপ্পা। মঙ্গলবার টুইট করে শোকপ্রকাশ করলেন প্রবীণ বিজেপি (BJP) নেতা।
ঠিক কী হয়েছিল? সোমবার ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েন চামরাজানগর জেলার বাসিন্দা রবি নামের ওই যুবক। এরপরই তিনি আত্মহত্যা করেন। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। মঙ্গলবার টুইটারে রবির মৃতুতে শোকপ্রকাশ করলেন ইয়েদুরাপ্পা। তিনি লেখেন, ‘‘আমার ইস্তফার খবরে রবির আত্মহত্যার সংবাদে আমি মর্মাহত। রাজনীতিতে উত্থান পতন লেগেই থাকে। জীবন শেষ করে দেওয়াটা মেনেই নেওয়া যায় না। ওর পরিবারকে যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হল তা পরিমাপ করা সম্ভব নয়।’’
[আরও পডুন: ১২ বছরের বালকের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে কিশোরী দিদিকে গণধর্ষণ যোগীরাজ্যে, ধৃত ৩]
ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরেই। তিনি ইস্তফা দেবেন নাকি কুরসি আঁকড়ে থাকবেন, তা নিয়েই গত কয়েকদিন জোর আলোচনা চলছিল কর্ণাটকের রাজনৈতিক অন্দরে। গত ১৮ তারিখ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে দেখা করেন ইয়েদুরাপ্পা। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় তাঁর। যদিও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তিনি রাজ্যের কয়েকটি প্রকল্প নিয়েই কথা বলতে দিল্লি এসেছেন। সেদিনও উড়িয়ে দিয়েছিলেন ইস্তফার গুঞ্জন। কিন্তু রবিবারই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাজ্যের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতেই তিনি ইস্তফা দিতে পারেন। সেইমতো সোমবারই তা চূড়ান্ত হয়। ইস্তফা পেশ করেন ৭৮ বছরের প্রবীণ বিজেপি নেতা।
আসলে গত কয়েক মাস ধরেই কর্ণাটকের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন বিজেপি নেতার সঙ্গে সম্পর্ক একেবারেই ভাল যাচ্ছিল না ইয়েদুরাপ্পার। আর সেই কারণেই তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চান বলে ক্রমশ জোরাল হচ্ছিল গুঞ্জন। সেসবের চাপেই তিনি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। কে কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন, তা নিয়েই আপাতত চলছে আলোচনা।