সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইন (National Monetization Pipeline) নিয়ে ফের কেন্দ্র সরকারকে তোপ তৃণমূলের। এরাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার ‘সেল ইন্ডিয়া’ প্রকল্প চালাচ্ছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O’Brien) বলছেন, বিরোধীরা সংসদে সরকারের সেল ইন্ডিয়ার বিরোধিতা করলেও তাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
গতকালই তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দেশ বিক্রি নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছিলেন। প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, দেশের মাটি কি কখনও বিক্রি হয়? মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, বিজেপি সরকার দানবীয়, তাণ্ডবীয় সরকার। বিজেপি সরকার অমানবিক সরকার। এই সরকার মানুষের কথা ভাবে না। ওঁরা গোটা দেশকে বিক্রি করার ছক কষছে। রেল স্টেশন, এয়ার ইন্ডিয়া (Air India), কয়লা, লাইফ ইনস্যুরেন্স, জেনারেল ইনসুরেন্স, সব বেচে দেবে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: সাভারকরের নামে কলেজ খুলছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, একাধিক ভবন হচ্ছে বিজেপি নেতাদের নামে]
মমতার সেই অভিযোগই প্রতিধ্বনিত হল ডেরেক ও ব্রায়েনের টুইটে। তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার দলনেতা ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে দাবি করলেন, দেড় বছর আগেই সরকারের ‘বেচো ইন্ডিয়া’ অভিযানের বিরুদ্ধে সংসদে আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি। সংসদে এ নিয়ে সরকারের কাছে বিবৃতি দাবি করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র তাতে পাত্তা দেয়নি। ২০২০ সালের ১৬ মার্চের যে ভিডিও ক্লিপ ডেরেক শেয়ার করেছেন, তাতে তাঁর বক্তব্য ছিল,”সরকার বলছে রেলের কোনও বেসরকারিকরণ হচ্ছে না। তাহলে সেটা সংসদে এসে বলুক কেন্দ্র। আমার মনে হয়, সরকার সেল ইন্ডিয়া অভিযান চালাচ্ছে। সব কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, এয়ার ইন্ডিয়া, এলআইসি বিক্রি হচ্ছে। আপনারা LIC থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা নিলেন। বলুন সেই টাকা কোথায় ব্যবহার করেছেন?” ডেরেকের বক্তব্য, দায়িত্ববান বিরোধী হিসাবেই তাঁরা দেশ বিক্রির প্রতিবাদ করে আসছেন। কিন্তু সরকারের মুখে কুলুপ।
[আরও পড়ুন: ‘আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে সদাপ্রস্তুত সরকার’, জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী]
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ন্যাশনাল মানিটাইজেশ পাইপলান নামের এক ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষী’ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। যার লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন সেক্টরের সম্পত্তি লিজ দিয়ে তা থেকে বিপুল মূলধন সংগ্রহ। কেন্দ্রের টার্গেট, সরকারে অব্যবহৃত, অকেজো, লোকসানে চলা সংস্থা বা সম্পত্তি লিজ দিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ কোটির মূলধন তৈরি করা। বিরোধী শিবিরের দাবি, এভাবে পরোক্ষে দেশ বিক্রিরই ছক কষছে সরকার।