shono
Advertisement

শীঘ্রই KLO প্রধান জীবন সিংহের সঙ্গে ‘শান্তি আলোচনা’শুরু কেন্দ্রের! বাড়ছে বাংলা ভাগের আশঙ্কা

আলোচনায় থাকবে অসম সরকারের প্রতিনিধিরাও।
Posted: 05:30 PM Jan 21, 2023Updated: 05:31 PM Jan 21, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীঘ্রই কেএলও (KLO) প্রধান জীবন সিংহের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে কেন্দ্র। আলোচনায় থাকবে অসম সরকারের প্রতিনিধিরাও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এমনই খবর। আপাতত গুয়াহাটিতে অসম রাইফেলসের হেফাজতে রয়েছেন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের প্রধান।

Advertisement

দিন কয়েক আগে অসম রাইফেলসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ-সহ একাধিক নেতা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অসম পুলিশের বর্ষীয়ান আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত গুয়াহাটিতে রয়েছেন জীবন সিংহ। তাঁর সঙ্গে শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করছে কেন্দ্র। তবে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরুর দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। কেন্দ্র-অসম সরকারের সঙ্গে জীবন সিংহের আলোচনা প্রক্রিয়া ঘিরে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বাংলা।

[আরও পড়ুন: ISF-এর অবরোধ ঘিরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা, বিক্ষোভ হঠাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ, আটক নওশাদ সিদ্দিকি]

কিছুদিন আগেই এক বিজ্ঞপ্তিতে কেএলও প্রধান জানিয়েছিলেন, দ্রুতই দেশে ফিরে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসব। স্বাধীন কামতাপুরের দাবি কেন্দ্র মেনে নিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন জীবন সিংহ। জানিয়েছিলেন, আলোচনার মধ্যস্থতা করছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এই দাবি করার কিছুদিনের মধ্যে অসম রাইফেলসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, কিছুদিন আগে মূলস্রোতে ফিরেছেন জীবন সিংহ। কিছুদিনের জন্য বিশ্রাম নিন উনি। তারপর সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।”

প্রসঙ্গত, পৃথক কামতাপুর (Kamtapur) রাজ্যের দাবি নিয়ে আলোচনা একেবারে শেষ পর্যায়ে! কেন্দ্রের সঙ্গে মুখোমুখি দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নিতে শীঘ্রই দেশে ফিরছেন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা কেএলও নেতৃত্ব। প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছেন কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর।

[আরও পড়ুন: ট্রেনে বন্ধ হতে চলেছে হকারি! ‘গরিবদের ভাতে মারার চেষ্টা’, প্রতিবাদে সরব হকার ইউনিয়ন]

বাংলার শাসকদল বিচ্ছিন্নতাবাদ বিরোধী। তারা পৃথক রাজ্য গঠনের বিরোধিতা করেছে বরাবর। চিঠির বয়ান অনুযায়ী, বঙ্গের কিছু অংশ নিয়ে, পৃথক রাজ্য গঠন নিয়ে কেএলও-র মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেছে কেন্দ্র সরকার। তাতে মধ্যস্থতা করেছেন এক বিজেপি নেতা তথা ভিনরাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই এর পিছনে গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement