সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনই কার্যকর হচ্ছে না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA। এই আইন (CAA) কার্যকর করার সময়সীমা আরও বাড়ল। চলতি বছরে এই আইন কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়িয়ে দিল সংসদীয় কমিটি। তাদের নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে এই নাগরিকত্ব আইন।
গত এক বছর ধরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোভিড পরিস্থিতির জন্য এই আইন কার্যকর করা যায়নি। ভ্যাকসিন এলে এই আইন কার্যকর করা হবে। কিন্তু বাস্তবে সেই সময়সীমা আরও তিন মাস পিছিয়ে গেল। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বাংলার মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে এর প্রভাব পড়বে। এদিন লোকসভায় জানানো হয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।
[আরও পড়ুন : দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করল CBSE বোর্ড, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ সূচি]
বাংলার প্রায় ৩০ টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই মতুয়াদের সমর্থন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু গত ১৩ মাসে এই আইন কার্যকর না হওয়ায় মতুয়াদের মধ্যেও চাপা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। আইন কার্যকর করার দাবিতে একাধিকবার সরব হয়েছেন খোদ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই আইন কার্যকর করতে বিজেপির উপর চাপ তৈরি করেছেন তাঁরা। অথচ এই আইন কার্যকর হলে অসমে চাপে পড়বে গেরুয়া শিবির। দু’রাজ্যের নির্বাচনও প্রায় একই সময়। যার জেরে শাঁখের করাতের অবস্থা গেরুয়া শিবিরে।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই শাঁখের করাতের অবস্থা থেকে বাঁচতেই আইন কার্যকর করার সময়সীমা খানিকটা পিছিয়ে দিল কেন্দ্র। যাতে সাপও মরে আবার লাঠিও না ভাঙে! কিন্তু তাতেও একেবারে বিপদমুক্ত নয় গেরুয়া শিবির। কারণ, কোনও আইন ছাড়াই মতুয়াদের বাংলার নাগরিক বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই আইন প্রণয়নের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়াকে বিজেপির বিরুদ্ধেই ব্যবহার করতে পারে তৃণমূল। এমনটাই আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।