সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তীর্থ করতে যেতে পারবেন হিন্দুরাও! বুধবার পাক সীমান্তের গাঁ ঘেঁসে একটি হিন্দু মন্দিরের সূচনা করে এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্র কর্তারপুর করিডরের ধাঁচে POK-তে সারদা পীঠ হিন্দুদের জন্য খুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে।
পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে মুজফফ্রাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে নীলম উপত্যকায় রয়েছে ১৮টি মহাশক্তি পীঠের একটি সারদা পীঠ এবং সারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ। সুলতানি এবং মোগল আমলে এশিয়ার অন্যতম সেরা সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র ছিল এই সারদা পীঠ এবং বিশ্ববিদ্যালয়। নালন্দা-তক্ষশীলার থেকেও প্রাচীন ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরবর্তী সময়ে বিদেশি হামলায় ধ্বংস হয়ে যায়। অমিত শাহ চাইছেন হিন্দুধর্মের অন্যতম এই তীর্থস্থান হিন্দুদের জন্য খুলে দিতে।
[আরও পড়ুন: র্যাঙ্ক জাম্পিং, নম্বর বিকৃতি থেকে মনীষা অন্তর্ধান! বাম জমানায় তিন কেলেঙ্কারির অভিযোগ তৃণমূলের]
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ওই মন্দিরের ধাঁচেই কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার টিটওয়াল গ্রামে নিয়ন্ত্রণরেখা ঘেঁসে তৈরি হয়েছে সারদা মন্দির। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই মন্দিরটির উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানেই শাহ জানান, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে যে সারদা মন্দির রয়েছে, কর্তারপুর করিডরের ধাঁচে সেই মন্দিরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের যাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় নাকি সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। যদিও এই কাজটি করতে হলে সরাসরি পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে ভারতকে। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে সেটা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘SET পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়েছিলাম, বাবা করিয়ে দেয়নি’, নিন্দুকদের জবাব দেবলীনা কুমারের]
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, শাহ নিজেও জানেন POK-তে হিন্দু তীর্থস্থান খোলার কাজটা বেশ কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু সামনেই কাশ্মীরে নির্বাচন। আর তাতে মূলত হিন্দু ভোটারদের টার্গেট করেই এগোচ্ছে বিজেপি। শাহর এই প্রতিশ্রুতিও মূলত হিন্দু ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।