সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন আগেই ছিল। এবার কেন্দ্রের থেকে কোভ্যাক্সিন (Covaxine) নিতে স্পষ্টতই অস্বীকার করল ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিং দেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন, যতদিন না ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রক ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে, ততদিন এই টিকা যেন কেন্দ্র সেরাজ্যে না পাঠায়। পালটা চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Bardhan) আবার তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন তোলার মানে হয় না। দুটি ভ্যাকসিনই পুরোপুরি নিরাপদ।
উল্লেখ্য, করোনা রুখতে দেশে দুটি ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। এর মধ্যে একটি হল সেরাম ইন্সটিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’। যা কিনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রযুক্তিতে তৈরি। এই টিকাটির বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রায়ালের পরই ছাড়পত্র পেয়েছে। দেশে ছাড়পত্র পাওয়া অপর টিকাটি ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। যা কিনা এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। শুরু থেকেই এই ভ্যাকসিনটিতে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন ছিল। এমনকী, বিরোধীরা এই ভ্যাকসিন বয়কট করারও ডাক দিয়েছিলেন। বস্তুত, টিকাকরণের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই গ্রহীতাদের অস্বাভাবিক অসুস্থতা এমনকী মৃত্যুর খবর পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। যা কোভ্যাক্সিন নিয়ে মানুষের সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, এই অসুস্থতা বা মৃত্যুর সঙ্গে টিকাকরণের কোনও যোগ নেই। কিন্তু তাতেও সংশয় কমেনি। এবার ছত্তিশগড় সরকার কেন্দ্রকে জানিয়েই দিল তারা কোভ্যাক্সিন নিতে চায় না।
[আরও পড়ুন: ‘দেশ চালাচ্ছেন চারজন, হাম দো, হামারে দো’, কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ রাহুলের]
ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি এস সিং দেও (T S Singh Deo) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, “কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল এখনও চলছে। তাছাড়া, এর ভায়ালগুলিতে এক্সপায়ারি ডেটও লেখা নেই। তাই যতদিন না ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যদপ্তর এই ভ্যাকসিনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছে। ততদিন এটি আমাদের পাঠাবেন না।” এর জবাবে কেন্দ্রের তরফেও এসেছে কড়া চিঠি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়ে দিয়েছে,”ভারত যে দুটি ভ্যাকসিনে ছাড়পত্র দিয়েছে, সেই দুটিই সম্পূর্ণ নিরাপদ। সরকারের নিয়ম মেনেই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। এই মুহূর্তে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দুটি টিকাই জরুরি। তাই আশা করব, রাজ্য সরকার আমাদের সাহায্য করবে।”