সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর চেষ্টা! নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটি থেকে দেশের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়ার বিরোধিতা করে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলি আর শুনবেন না বিচারপতি খান্না।
চলতি বছর মার্চ মাস থেকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমার মামলাগুলি শুনছিলেন। তখনও সঞ্জীব খান্না প্রধান বিচারপতি হননি। ওই বেঞ্চ তৈরি করেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। প্রধান বিচারপতি হতেই সঞ্জীব খান্না নিজেকে এই মামলা থেকে সরিয়ে নিলেন। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রের খবর, এই মামলাগুলির জন্য অন্য বেঞ্চ গঠিত হবে। জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখের পর মামলাগুলির শুনানি হবে।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বক্তব্য ছিল, দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষমতা একচ্ছত্রভাবে মন্ত্রিসভার হাতে থাকবে না। এদের নিয়োগ করবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতির যৌথ কমিটি। এই কমিটির সুপারিশ মেনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করবেন। কিন্তু শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরেও নতুন করে বিল আনে কেন্দ্র। কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্য এক কমিটির প্রস্তাব দেওয়া হয় এই বিলে।
নতুন আইন অনুযায়ী, দেশের নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ করা মন্ত্রিসভার এক সদস্য। অর্থাৎ ৩ সদস্যের কমিটির দুই সদস্যই হবেন সরকারি প্রতিনিধি। আপাতত ওই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ছাড়া রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বিচারবিভাগের কোনও প্রতিনিধি নেই ওই কমিটিতে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাতেই মামলা দায়ের হয়েছে শীর্ষ আদালতে।