সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস।’ মাওয়ের দর্শন মেনেই সীমান্তে বারবার আগ্রাসী হয়েছে চিন। লাদাখ থেকে শুরু করে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারতীয় ভূখণ্ডে দু’পা এগিয়ে এক পা পিছিয়ে যাওয়ার ‘সালামি স্লাইসিং’ নীতি নিয়েছে লালফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে এবার উত্তরাখণ্ডে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গ্রাম বানাচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি।
সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে গ্রাম বানাচ্ছে চিন। ওই গ্রামে প্রায় ২৫০টি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর। এলএসি থেকে ৩৫ কিমি দূরে আরও আন্তত ৫০টি বাড়ি তৈরি করছে তারা। এই বিতর্কিত ভূখণ্ডে নির্মাণের কাজ চলছে পিপসল লিবারেশন আর্মি বা লালফৌজের নজরদারিতে। এছাড়া, গোটা ইস্টার্ন সেক্টর অর্থাৎ লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ৪০০টি গ্রাম বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে বেজিংয়ের। বলে রাখা ভাল, চিনের সঙ্গে ৩৫০ কিমি সীমান্ত ভাগ করে উত্তরাখণ্ড। তবে জীবিকার সন্ধানে পাথুরে গ্রামগুলি থেকে অনেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি দেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল নাগাদ ভারত-ভূটান-চিন সংযোগে ডোকলাম (Doklam) নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে একপ্রস্থ উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই এলাকায় সড়ক বানাতে চাইছিল চিনা সেনা। তবে গতবছর স্যাটেলাইট সূত্রে পাওয়া ছবিতে দেখা যায় যে ডোকলামের ৯ কিলোমিটার পূর্বে একটি আস্ত গ্রাম তৈরি করেছে চিন। এদিকে ভারতের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সড়ক বানাচ্ছে ড্রাগন। সীমান্তে শান্তি ফেরাতে দফায়-দফায় দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এর মাঝেই এহেন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘৯ সাল ৯ সওয়াল’, মোদি সরকারের বর্ষপূর্তিতে তীব্র আক্রমণ কংগ্রেসের]
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল দাবি করেছিল, উত্তর-পূর্বে অরুণাচল প্রদেশে ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে লালফৌজ। এই বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্যের উত্তর সুবনসিরি জেলায় চিনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ করা হয়েছিল। ওই টেলিভিশন চ্যানেল তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, ভারতীয় ভূখণ্ডের চার কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসে তাসরি চু নদীর তীরে গ্রাম তৈরি করেছে চিন। সেই সময় প্রকাশিত এক উপগ্রহ চিত্রকে প্রকাশ্যে এনে, ওই চ্যানেল দাবি করেছিল ওই এলাকায় ১০০-র বেশি বাড়ি তৈরি করেছে চিন সেনা। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছিলেন অরুণাচলের বিজেপি সাংসদও। পরবর্তী সময় লোকসভার অধিবেশনে এই ব্যাপারে তিনি সরবও হয়েছিলেন।