সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট এলেই দরাজহস্ত হন ভূভারতের রাজনৈতিক নেতা তথা রাষ্ট্রপ্রধানেরা। সেই 'ম্য়াজিকে' এবার বিহারে দ্বাদশ উত্তীর্ণরা ৪০০০ টাকা এবং স্নাতকরা ৬০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন! রাজ্যের সম্ভাবনাময় তরুণদের 'ইন্টার্নশিপ' হিসাবে এই অর্থ দেওয়া হবে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সভাপতিত্বে বিহার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
'মুখ্যমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা যোজনা'র আওতায় রাজ্যের সম্ভাবনাময় তরুণ প্রজন্মকে এই আর্থিক সাহায্য করা হবে। ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে বয়স যাঁদের, কেবলমাত্র তাঁরাই অনুদান পাবেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ রয়েছে যাঁদের। মাসিক ৫ হাজার টাকা পাবেন আইটিআই-এর ডিগ্রি থাকলে কিংবা যাঁরা ডিপ্লোমা পাশ করেছেন। প্রতি মাসে ৬ হাজার টাকা করে পাবেন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণেরা।
এছাড়াও যাঁরা অন্য রাজ্যে কাজ করছেন তাঁদের দেওয়া হবে অতিরিক্ত ৫০০০ টাকা। নীতীশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্টার্নশিপের মেয়াদ হবে তিন থেকে ১২ মাস পর্যন্ত। আর্থিক অনুদান সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। 'মুখ্যমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা যোজনা' প্রকল্পে খরচ হবে সরকারি কোষাগারের ৬৮৫ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। বিরোধীরা কটাক্ষ করছেন, 'ডাবল ইঞ্জিন সরকারে'ও বেকারত্ব বাড়ছে বিহারে। বিনিয়োগ নেই, শিল্প নেই। ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে যাচ্ছেন যুবকরা। এই অবস্থা তরুণ প্রজন্মের মন ভোলাতেই নয়া ভাতা প্রদান।
প্রসঙ্গত, বার বার খয়রাতির বিরোধিতায় মুখর হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও বিহারের ভোটে জিততে সেই খয়রাতিতেই ভরসা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘বন্ধু’ নীতীশ কুমার। ভোটের তিন-চার মাস আগে বিহারে বিধবা এবং বয়স্কদের পেনশন প্রায় ৩ গুণ করে দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। একধাক্কায় ৭০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওই সামাজিক সুরক্ষা ভাতা। আগে যা ছিল ৪০০ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ১১০০ টাকা। এবার তরুণ প্রজন্মকে ভাতা দিয়ে বিধানসভায় জয় নিশ্চিত করতে চাইছে এনডিএ সরকার।
