সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিধানসভা নির্বাচনের আগেভাগে রাজস্থানে (Rajasthan) অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত কংগ্রেস (Congress)। ফের প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ও শচীন পাইলট (Sachin Pilot) দ্বৈরথ। রাজস্থানে নিজ সরকারের বিরুদ্ধেই অনশনের ডাক দিয়েছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন। তাঁর এই ঘোষণায় নির্বাচনের আগেভাগে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে দল। শেষ পর্যন্ত আসরে নামল হাইকম্যান্ড। সোমবার রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া (Sukhjinder Singh Randhawa) জানালেন, গেহলট এবং পাইলটের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন। এইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, গেহলটের বিরুদ্ধে উপযুক্ত সময়ে সরব হননি পাইলট।
রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট একদিনের অনশন ঘোষণা করেন। জানান, বর্তমান কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে ১১ এপ্রিল অনশন করবেন। কেন এই অনশন? শচীন জানিয়েছেন, পূর্ববর্তী বিজেপির বসুন্ধরা রাজে সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তদন্তের জন্য অশোক গেহলটের কাছে আবেদন করেছিলেন। যদিও উত্তর পাননি। সচিন বলেন, “বসুন্ধরা রাজের আমলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আমরা দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলাম। …আমি প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী করি না। কিন্তু বিরোধী দল হিসেবে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল। সেই কারণেই ক্ষমতায় এসেছি।” দেড় বছর আগে গেহলটকে এই বিষয়ে চিঠি লেখেন বলেও জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। যদিও সদুত্তর পাননি।
[আরও পড়ুন: সাংসদ পদ খারিজের পর প্রথমবার ওয়ানড় সফরে রাহুল গান্ধী, করবেন রোড শো]
গেহলটের বিরুদ্ধে পাইলট এবার নতুন অভিযোগ আনলেও আগেও বহু ক্ষেত্রে বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর আগে বিধানসভা ভোটের আগেভাগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়েও গেহলটের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন পাইলট। এই অবস্থায় আসরে নামতে বাধ্য হল হাইকম্যান্ড। সোমবার রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া বলেন, “পাইলট উপযুক্ত সময় গেহলট বিরোধী সাংবাদিক সম্মেলন করেননি।” আরও বলেন, “আগামী সোম বা মঙ্গলবার আমি জয়পুরে যাব। গেহলট ও পাইলটের সঙ্গে কথা বলব।”
[আরও পড়ুন: দেশে ফের বাড়ল করোনা সংক্রমণ, মোকাবিলার প্রস্তুতিতে হাসপাতালগুলিতে শুরু মক ড্রিল]
প্রাথমিক ভাবে রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দুই নেতাকেই ছেড়ে কথা বলছেন না। একদিকে যেমন তিনি জানিয়েছেন, কেন বসুন্ধরা রাজে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না, প্রশ্ন করা হবে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে। পাশাপাশি বলেন, প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পর পাইলটের সঙ্গে আমার ১০-১৫ বার সাক্ষাৎ হয়েছে। কখনওই তিনি এই বিষয় উত্থাপন করেননি। কেন? প্রশ্ন করা হবে কংগ্রেস নেতাকে।