সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও-কে যোগ্য সম্মান না দেওয়ার অভিযোগ গান্ধী পরিবারের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। নরসিমা রাওয়ের ছোট ছেলে পিভি প্রভাকর রাও প্রকাশ্যেই অভিযোগ আনলেন, তাঁর বাবাকে অসম্মান করেছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বলে দিলেন, রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রায় যেভাবে তাঁর বাবা উপেক্ষিত রয়ে গেলেন তাতে তিনি ব্যথিত।
আসলে দিন দুই আগে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় হায়দরাবাদে ছিলেন রাহুল। নিজামের শহরে নিজের ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) প্রয়াণ দিবসে তাঁর একটি মূর্তিতে মাল্যদান করেন রাহুল। ইন্দিরা মূর্তির অদূরেই আরেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওয়েরও (PV Narasimha Rao) একটি মূর্তি ছিল। কিন্তু সেই মূর্তিটিতে মাল্যদান করে রাওকে ন্যূনতম শ্রদ্ধা জানাতে যাননি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। আর সেটাই ব্যথিত করেছে নরসিমা রাওয়ের ছোট ছেলেকে। তিনি বলছেন, “এই ধরনের ঘটনা যখন ঘটে, তখন খারাপ তো লাগেই। তবে আমি সবটাই ওদের বিচক্ষণতার উপর ছেড়ে দিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: শীতের শিরশিরানির মাঝেই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি, উপকূলীয় জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা]
পিভি প্রভাকর রাও বলছেন, মঙ্গলবার সকালে তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের কিছু নেতা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা জানান রাহুল গান্ধী বাবার মূর্তিতে মাল্যদান করবেন। সেইমতো আমি সেখানে উপস্থিত হই। কিন্তু শেষপর্যন্ত রাহুল এলেন না। আমাকে বলা হল, নিরাপত্তাজনিত কারণে রাহুল আসতে পারেননি। কংগ্রেস (Congress) নেতাদের তরফে আমার কাছে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে। দিগ্বিজয় সিং ফোন করে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। আমাকে এটাও বলা হয়েছে যে ভারত জোড়ো যাত্রার মূল পরিকল্পনায় আমার বাবার মূর্তিতে মালা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিলই না।” নরসিমা রাওয়ের অসম্মানের যে অভিযোগ প্রভাকর রাও তুলছেন, সেটা তেলেঙ্গানার আসন্ন নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের জন্য ধাক্কা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: পরিকাঠামো নিয়ে সমস্যা, এবছরও শান্তিনিকেতনে হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা]
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে রাও প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর থেকে পুরো নব্বইয়ের দশক জুড়েই তাঁর সঙ্গে গান্ধী পরিবারের নানা ইস্যুতে সংঘাত বেঁধেছে। তিনিই গান্ধী-নেহরু পরিবারের বাইরে কংগ্রেসের প্রথম নেতা, যিনি প্রধানমন্ত্রী পদে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিলেন। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের পাঁচটা বছর মোটেই সহজ ছিল না। সমালোচকরা এখনও বলে থাকেন, দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণেই ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস হেরে গিয়েছিল। যায় দায় চাপানো হয়েছিল রাওয়ের উপরেই। এমনকী মৃত্যুর পরও কংগ্রেস সদর দপ্তরে তাঁর দেহ ঢুকতে দেওয়া হয়নি।