সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা (Lok Sabha 2024) ভোটের ঠিক আগে আগে বিরাট অস্বস্তিতে কংগ্রেস। কর বাকি থাকার অভিযোগে শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দলকে যে জরিমানা করেছিল আয়কর বিভাগ, সেই জরিমানা বহাল রাখল এই সংক্রান্ত আপিল ট্রাইবুনাল। যদিও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে হাত শিবির।
শুক্রবার অর্থাৎ যেদিন নির্বাচনের জন্য প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস, সেদিনই আয়কর ট্রাইব্যুনাল হাত শিবিরের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তিন সপ্তাহ আগে কংগ্রেসের (Congress) প্রধান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় আয়কর বিভাগ। এর পর গত ২১ ফেব্রুয়ারি কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন অভিযোগ করেন, আয়কর দপ্তর (IT) নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে তাদের ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৬৫ কোটি টাকা জরিমানা হিসাবে কেটে নিয়েছে।
[আরও পড়়ুন: ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, মোদির মঞ্চ থেকে লড়াইয়ের ডাক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের]
আয়কর বিভাগের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আয়কর ট্রাইবুনালে কংগ্রেস আবেদন করেছিল সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে। প্রাথমিকভাবে ট্রাইব্যুনাল কংগ্রেসের সব অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু চূড়ান্ত রায়ে জানিয়ে দিল, কংগ্রেসের যে কর বকেয়া আছে, সেটা দিতেই হবে। অর্থাৎ আয়কর বিভাগ যে ৬৫ কোটি টাকা কেটে নিয়েছে সেটা কংগ্রেসকে ফেরত দেওয়া হবে না। উপরন্তু, আরও প্রায় ৭০ কোটি টাকা আয়কর দপ্তরের কাছে বকেয়া হাত শিবিরের। এই টাকা লোকসভার আগে মেটাতে হলে বিরাট ধাক্কা খাবে কংগ্রেস।
[আরও পডু়ন: ‘আমার শরীর নিয়ে খেলা করেছে!’, আদিল ফের বিয়ে করতেই গর্জে উঠলেন রাখি]
যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের অভিযোগ, এটা স্পষ্টতই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তাঁদের বিরুদ্ধে সামান্য অনিয়মের অভিযোগেই বিরাট জরিমানা করা হয়েছে। আসলে নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) বাতিল হওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে মোদি সরকার।