সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্রেফ এক বছরে শেয়ার বাজারে প্রায় ৪০ শতাংশ মূলধন হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা LIC। আইপিও আসার পর প্রত্যাশা করা হয়েছিল, এলআইসি শেয়ার বাজারে জোয়ার আনবে। কিন্তু প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি। আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছে কংগ্রেস-বিজেপি তরজা।
২০২২ সালের মে মাসের গোড়ায় ৯৪৯ টাকায় এলআইসির আইপিও বিক্রি শুরু হয়েছিল। কিন্তু ১৭ মে বাজারে আসার পরেই শেয়ারের দাম ৮৬৭ টাকায় নেমে আসে। বাজার বিশেষজ্ঞদের সব অনুমান ভুল প্রমাণ করে এলআইসির শেয়ারের দাম ক্রমশ নিম্নমুখীই হতে থাকে। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর এলআইসির শেয়ারে আরও ধস নামে। যার ফলে দেখা যায় এক বছরে এলআইসির মূলধন এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। যার অর্থমূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। এমনটাই প্রকাশিত হয়েছে একটি রিপোর্টে।
[আরও পড়ুন: কলেজিয়াম বিতর্কের জের! কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হল কিরেন রিজিজুকে]
রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার এই বিপুল সম্পত্তিহানি স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের। দেশজুড়ে এখনও কোটি কোটি মানুষের ভরসার জায়গা এলআইসি। বিমা সংস্থায় বিনিয়োগ একদিকে যেমন ভবিষ্যতের নিরাপত্তা দেয়, অন্যদিকে তেমনি সঞ্চয়েরও একটা বড় মাধ্যম। এ হেন সংস্থার সম্পত্তিহানি নিয়ে বিরোধীরা সরব হবে সেটাই স্বাভাবিক। বুধবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন,” ১ বছর আগে শেয়ার বাজারে নথিভুক্তির সময় এলআইসির মূলধন ছিল ৫ লক্ষ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এক বছরে তা ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটিতে নেমে এসেছে। এই অধঃপতনের মূলে রয়েছে মোদানি (মোদি ও আদানি)। এদের ব্যর্থতার জেরে লক্ষ লক্ষ পলিসি হোল্ডার ধাক্কা খাবেন।”
[আরও পড়ুন: নীতীশের দলের মাংসভাত পার্টির পরেই মুঙ্গেরে গায়েব পথকুকুর, গেরুয়া নেতার অভিযোগে শোরগোল]
জবাব এসেছে বিজেপির তরফেও। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলছেন,”আদানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে এতদিন প্রচুর লাভ পেয়েছে এলআইসি। আর এতে কোনওভাবেই শেয়ারহোল্ডারদের লোকসান হবে না। জয়রাম রমেশ আরও একবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।”