বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার হাউস কমিটি বৈঠকে বিরোধী সাংসদদের তোপের মুখে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, সাংসদদের বাসভবন বরাদ্দ, সংস্কার থেকে শুরু করে অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে শাসক ও বিরোধী দলের সাংসদদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান ইন্দুবালা গোস্বামীকে কার্যত তুলোধোনা করেছেন কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি-সহ বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদরা।
এদিন বিরোধী দলের এক সাংসদ যথারীতি তথ্য দিয়ে জানান, এমন বেশ কিছু সাংসদ বাংলো দখল করে আছেন, যাঁরা এখন সাংসদ নন, কোনও সাংবিধানিক পদেও নেই, তবু সাংসদদের জন্য বরাদ্দ ফ্ল্যাট, বাংলো দখল করে বসে আছেন। অথচ লোকসভা নির্বাচনের এক বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও অনেক নতুন সাংসদ এখনও কোনও বাসভবন পাননি। আবার এমন অনেক সিনিয়র সাংসদও আছেন, যাঁদের পাওয়া উচিত বড় বাংলো, অথচ এখনও থাকতে হচ্ছে ফ্ল্যাটে।
উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ইউসুফ পাঠানের কথা। যাঁর জন্য এখনও কোনও বাসভবন বরাদ্দ হয়নি। ডেরেক ও'ব্রায়েন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তিনবারের সাংসদের যেখানে বাংলো বা দু'টি ফ্ল্যাট পাওয়ার কথা, তাঁদের থাকতে হচ্ছে ছোট ফ্ল্যাটে। অথচ শাসকদলের সাংসদরা পেয়ে যাচ্ছেন অতিরিক্ত ও বাড়তি সুবিধা। ওড়িশার গত লোকসভার বিজেপি সাংসদ অনুভব মোহান্তি, যাঁকে গত বছরের নির্বাচনে প্রার্থীই করা হয়নি, তিনি এখনও ফ্ল্যাট দখল করে রেখে দিয়েছেন। এমন উদাহরণ রয়েছে ভূরি ভূরি।
বিরোধী সাংসদদের আক্রমণের অন্যতম হাতিয়ার ছিল কমিটির বৈঠক সঠিক সময়ে না হওয়া। বিরোধীদের বক্তব্য, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি দু'মাসে হওয়ার কথা কমিটির বৈঠক। অথচ গত দু' বছরে তা হয়েছে মাত্র দু' বার। যদি বৈঠকই না হয়, তবে সাংসদরা নিজেদের বক্তব্য রাখবেন কীভাবে? জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন এবার থেকে নিয়ম মেনে প্রতি দু' মাস অন্তর একবার করে বৈঠক ডাকা হবে।
