নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: অপেক্ষার অবসান। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দেশে ফিরলেন করোনা-আতঙ্কে চিনের ইউহান প্রদেশে আটকে থাকা তিন নাবালক-সহ মোট ৩২৪ জন ভারতীয়। যাদের মধ্যে অধিকাংশই পড়ুয়া। প্রথম দফায় দেশে ফেরা ভারতীয়দের মধ্যে বর্ধমানের সাম্য রায়ও রয়েছেন। দেশে ফেরা ভারতীয়দের আপাতত ‘করেনটাইন’ করে রাখা হবে। অর্থাৎ আগামী ১৪ দিন দিল্লির কাছে মানেসরের বিশেষ আইসোলেশন ক্যাম্পে চিকিৎসকদের নজরদারিতে থাকবেন তাঁরা। এরমধ্যে তাঁদের দেহে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ না মিললে তবেই বাড়ি ফিরতে পারবেন। তবে বাড়ি ফেরার পরও তাদের উপর জেলাস্তরে নজরদারি চালানো হবে।
জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারির আকার নেওয়ায় চিনের ইউহান প্রদেশে প্রায় ৬০০ জন ভারতীয় আটকে রয়েছেন। তাদের সকলকে ফিরিয়ে আনার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানের বন্দোবস্ত করেছে সরকার। এর মধ্যে প্রথম বিমান বোয়িং ৭৪৭ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ দিল্লি পৌঁছয়। বাকিদের ফেরাতে শনিবারই আরও একটি বিমান রওনা দেবে বলে খবর। হুবেইতে আটকে থাকা ভারতীয়দের দ্রুত ভারতীয় দূতাবাসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। চালু হয়েছে হট লাইনও।
[আরও পড়ুন : দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট, কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে অর্থমন্ত্রী]
জানা গিয়েছে, চিনগামী বিমানে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের পাঁচজন চিকিৎসক ছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়ার একজন প্যারামেডিক সদস্য ছিলেন। যেহেতু সংক্রামিত রোগী কেবিন ক্রু ও অন্যান্য সহযাত্রীদের পক্ষে বিপজ্জনক, তাই সমস্ত ভারতীয়দের পরীক্ষা করা হবে। এদিন বিমানবন্দরে সমস্ত যাত্রীকে যুগ্মভাবে পরীক্ষা করে দেখছে AHO ও AFMS-এর প্রতিনিধি দল।
[আরও পড়ুন : চাপের মুখেও CAA নিয়ে পিছু হঠবে না কেন্দ্র, সাফ জানালেন মোদি]
জানা গিয়েছে, এরপর আইসোলেশন সেন্টারে পড়ুয়াদের তিনটি দলে বিভক্ত করে পরীক্ষা করা হবে। প্রথম দলটিতে রাখা হবে, যাদের দেহে লক্ষণ জ্বর বা সর্দি অথবা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ মিলবে। তাদের তৎক্ষণাৎ দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে। দ্বিতীয় দলে থাকবেন সেই পড়ুয়ারা, যাঁদের মধ্যে রোগের লক্ষণ নেই অথচ তাঁরা সিফুড খেয়েছেন কিংবা পশু বাজারে গিয়েছেন। অথবা গত ১৪ দিনের মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণযুক্ত কোনও চিনা ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন। তৃতীয় দলে থাকবেন, অপেক্ষাকৃত নিরাপদরা। যাঁদের মধ্যে কোনও লক্ষণ নেই কিংবা তাঁরা কোনও সংক্রমণের লক্ষণযুক্ত চিনা ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসেননি।তিন দলের সকলেই ত্রিস্তরীয় মাস্ক পরে থাকবেন বলে খবর। ১৪ দিন পরে যাঁদের মধ্যে কোনও লক্ষণ দেখা যাবে না, তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বাড়ি চলে গেলেও তাঁরা জেলা অথবা রাজ্য স্তরের নজরদারিতে থাকবেন।ফিরে আসা ভারতীয়দের পরিবারের তরফে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
The post করোনা আতঙ্ক: দেশে ফিরলেন চিনে আটকে থাকা ৩২৪ জন ভারতীয় appeared first on Sangbad Pratidin.
