সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরীর মন্দিরে (Puri Temple) ফাটল ঘিরে শঙ্কা অব্যাহত। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা ASI এক আরটিআই রিপোর্ট প্রকাশের পরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে। ফাটল মেরামতির কাজ শুরুর চার বছর পরও ফাটল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
২০১৯ সালে ওড়িশা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল চার মাসের মধ্যে মেরামতি সম্পূর্ণ করতে হবে। দেখা যায়, ফাটল দেখা দিয়েছে নতুন করে। গত বছরের নভেম্বরে এএসআই ও আইআইটি চেন্নাইয়ের বিশেষজ্ঞরা ফাটল খতিয়ে দেখেন। বলা হচ্ছে, এই ফাটল নতুন করে দেখা গিয়েছে। যদিও এএসআই জানাচ্ছে, এপ্রিলের মধ্যে যাবতীয় ফাটল মেরামত করার কাজ করে দেওয়া হবে। কিন্তু ৫ বছর ধরে যে কাজ করা যায়নি, সেটা কি আদৌ আগামী দু’মাসের মধ্যে করা যাবে, উঠছে প্রশ্ন। আর এই প্রশ্নকে ঘিরেই বাড়ছে উদ্বেগ।
[আরও পড়ুন: আদানির বন্দর থেকে উদ্ধার মাদক বেচে নাশকতার ছক! লস্কর সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি NIA রিপোর্টে]
উল্লেখ্য, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধানত দু’টি অংশ– জগমোহন এবং বিমান৷ নাটমন্দির বা জগমোহন মন্দিরের সেই অংশ যেখানে প্রধানত উপাসনার উদ্দেশ্যে সকলে জমায়েত হয়ে থাকেন৷ দ্বিতীয় অংশ হল মন্দিরের গর্ভগৃহের উপরিভাগ বা মন্দির চূড়া যা বিমান নামে পরিচিত। ১০৭৮ সাল থেকে ১১৪৮ সালের মধ্যে তৈরি জগমোহন অংশটির বয়স প্রায় ন’শো বছর। ঐতিহাসিক এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণে ইতিমধ্যেই পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ তৈরি করা হয়েছে বিশেষ কমিটি। সমুদ্রের কাছাকাছি থাকাটাই মন্দিরের ফাটলের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।