সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার নৃশংস দলিত নির্যাতনে খবরে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখিমপুর খেরি (Lakhimpur Kheri) জেলা। নাবালিকা দুই বোনকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল। বুধবার সকালে গ্রামেের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দুই বোনের দেহ। দলিত নাবালিকাদের মায়ের অভিযোগ, মেয়েদের অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দলিত নির্যাতনের এই ঘটনায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস ও তৃণমূল। অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
দুই নাবালিকার মা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবকরা পাশের গ্রামের বাসিন্দা। তারা ১৫ ও ১৭ বছরে দুই মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। সেই সময় অভুযুক্তদের আটকানোর চেষ্টা করলে তাঁকে মারধর করা হয়। এরপর বুধবার সকালে দুই মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওড়নাতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দেহ। নাবালিকাদের মা অভিযোগ করেছেন, মেয়েদের ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হিন্দি ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম’, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী]
পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। নাবালিকাদের দেহে আঘাতের চিহ্ন নেই বলেও দাবি পুলিশের। ইতিমধ্যে ছয় অভিযুক্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে নাবালিকাদের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে জনতার রোষের মুখে পড়ে স্থানীয় পুলিশ। পুলিশ কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় জনতা। স্থানীয় রাস্তা অবরোধ করা হয়। শেষ পর্যন্ত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো সম্ভব হয়।
এই ঘটনায় ২০১৪ সালের বাদোয়ানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা মনে পড়ছে অনেকের। সেবার একটি গাছ থেকে দুই তুতো বোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এবারের ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। এমন ঘটনার জন্য দায়ী করে যোগী সরকারকে তোপ দেগেছে সমাজবাদী পার্টি। আলাদা করে টুইট করেছেন সপা নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। তাঁর অভিযোগ, পরিবারের অনুমতি না নিয়েই তড়িঘড়ি নাবালিকাদের দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: জাতীয় সংগীত থেকে বাদ ‘বঙ্গ’ ও ‘উৎকল’! যোগী সরকারের ‘ভুল’ ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে]
বিজেপিকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। তিনি হিন্দিতে টুইট করেন, “লখিমপুরে দুই বোন হত্যার ঘটনা হৃদয় বিদারক। স্বজনরা বলছেন, মেয়েদের দিনের আলোতে অপহরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সংবাদপত্র ও টিভিতে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয় না। উত্তরপ্রদেশে নারীর বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ বাড়ছে কেন?” ভয়ংকর ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেস টুইট করেছে, “যোগী আদিত্যনাথের নজরদারিতে উত্তরপ্রদেশ অপরাধের রাজধানীতে পরিণত হচ্ছে। প্রশাসন এবং পুলিশের নীরবতা জনগণকে এই জঙ্গলরাজের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রাস্তায় আসতে বাধ্য করেছে।”