সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ড্রাই স্টেট’ বিহারে (Bihar) বিষমদ খেয়ে মৃত ১৬। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। দোষীদের পাকড়াও করতে ইতিমধ্যে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনায় ফের কাঠগড়ায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জোট সরকার।
[আরও পড়ুন: Covid-19: ‘দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগেও এমনই হয়েছিল’, ৬ মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্কতা PM Modi’র]
পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম চম্পারণ জেলায় বুধবার থেকে এপর্যন্ত বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। শুক্রবার অর্থাৎ গতকাল বিষাক্ত নেশার হাতছানিতে প্রাণ হারিয়েছেন আটজন। চম্পারণের জেলাশাসক কুন্দন কুমার জানিয়েছেন যে মৃতরা মূলত দেউরাওয়া, জোগিয়া ও বাগাহি নামের তিনটি গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুই মহিলা-সহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। চম্পারণ রেঞ্জের ডিআইজি লালমোহন প্রসাদ বলেন, “আমরা ৪০ জনের বয়ান নিয়েছি। তাঁদের মধ্যে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছে। শুরুর দিকে সবাই মদ্যপান করার কথা অস্বীকার করে। অবশ্য তারপর এক দু’জন মদ খাওয়ার কথা স্বীকার করে।” দেউরাওয়া গ্রামের বাসিন্দাদের বেশ কয়েকজনও মদ খাওয়ার কথা স্বীকার করে নেয়।
এদিকে, এই ঘটনায় নীতীশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন আরজেডি প্রধান তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘নেশামুক্তি’র নামে মদের অবৈধ ব্যবসা করার অভিযোগ তোলেন তিনি। বিহারে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকার বেআইনি মদের সমান্তরাল অর্থনীতি চলছে বলেও দাবি করেন লালু। এদিকে, বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যটির শাসকদল। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবী জানান, স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে সরকার। বলে রাখা ভাল, ২০১৬ সালে বিহারে মড নিষিদ্ধ করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তবে এর ফলে বেআইনি মদের ব্যবসায় রমরমিয়ে চলছে বলে অভিযোগ। গত মার্চ মাসেও বিহারে বিষমদ খেয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।