সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরু ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষের মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। এর মধ্যেই দিল্লিতে স্ত্রীর সঙ্গে বচসার জেরে এক বেকারি মালিকের আত্মহত্যার গুঞ্জনে বিতর্ক তুঙ্গে।
গতকাল, মঙ্গলবার মডেল টাউনের কল্যাণ বিহার অঞ্চলে নিজের বাড়িতেই পুনীত খুরানার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, তিনি সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন। স্ত্রীর সঙ্গে পুনীতের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। ২০১৬ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রী মিলে 'গডস কেক বেকারি' নামের একটি বেকারি চালাতেন। অন্য একটি ক্যাফেও ছিল। তবে সেটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আগেই। কিন্তু বেকারি নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। সম্পর্কে বিচ্ছেদ টানার সিদ্ধান্তও নেন তাঁরা। কিন্তু এরপরও তুঙ্গে ছিল বচসা। শোনা যাচ্ছে, বেকারির মালিকানা কার কাছে থাকবে তা নিয়েই ছিল দ্বন্দ্ব।
আত্মহত্যার আগে শেষবার স্ত্রীর সঙ্গেই কথা বলছিলেন পুনীত। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর পরিবারের দাবি, বেকারির ব্যবসা নিয়েই কথা হয়েছিল। এবং সেই কলের রেকর্ডিং নিজের পরিবারের সদস্যদেরও পাঠিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। পুলিশ পুনীতের ফোনটি খতিয়ে দেখছে। শিগগিরি তাঁর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডেকে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কল রেকর্ডিংটিও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি, স্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেছেন বেঙ্গালুরু ইঞ্জিনিয়ার অতুল সুভাষ। তাঁর সমর্থনে, ‘ছেলেরা এটিএম নয়’ প্ল্যাকার্ড হাতে পুরুষ কমিশন তৈরির দাবিতে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছে স্ত্রীদের হাতে ‘অত্যাচারিত’ সুরাটের যুবকদের। মহিলাদের একাংশ তাঁদের সুরাক্ষার্থে তৈরি আইনকে হাতিয়ার করে স্বামীদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। এবার পুরুষরাও প্রায় একই অভিযোগে সরব হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, অতুলের মৃত্যুর পিছনে মিথ্যা মামলা দায়ী। ওঁর সুবিচার পাওয়া উচিত। অনেক মহিলাই পুরুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন। আদালতে তা প্রমাণিত হলেও বিচারে নারীদের শাস্তির কোনও বিধান নেই। তারই পরিবর্তন চাইছেন তাঁরা। এর মধ্যেই এবার দিল্লির বেকারি মালিকের মৃত্যু ঘিরে নতুন করে বিতর্ক ছড়াল।