সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির নির্বাচনে আপের পাশেই রয়েছে তৃণমূল। দলের তরফে ঘরোয়াভাবে সে বার্তা আগেই দেওয়া হয়েছিল। এবার প্রকাশ্যেই দিল্লির শাসকদলের হয়ে প্রচারে নেমে গেল এ রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের একাধিক সাংসদ দিল্লিতে প্রচার করলেন আপের হয়ে। জনসভা করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা, মহুয়া মৈত্ররা।
শনিবার দিল্লির কৃষ্ণনগর, লক্ষ্মীনগর এলাকায় জনসভা করেছেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। বিহারীবাবু জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। তার উপর হিন্দিতে সুবক্তা হিসেবেও কদর রয়েছে। তাই শত্রুঘ্ন সিনহাকে দিল্লির ভোটে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। এদিকে আর এক তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রচার করেছেন দিল্লির করোলবাগ বিধানসভা এলাকায়। সুবক্তা হিসাবে মহুয়ারও সুনাম রয়েছে। শত্রুঘ্ন সিনহা বলছেন, "জাতীয় স্বার্থে বিজেপিকে হারানো জরুরি। তাই আপের হয়ে প্রচার।"
আসলে দিল্লিতে আপের প্রচার তৃণমূলের শামিল হওয়া স্বাভাবিক। জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী INDIA জোটের অন্যতম শরিক কেজরিওয়ালের আপ। আর উদ্যোক্তা বাংলার শাসকদল তৃণমূলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। INDIA জোটের অনেকেই কেজরিওয়ালের প্রচারে নিজেদের দলের সাংসদদের ময়দানে নামিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব নিজে প্রচারে নেমে গিয়েছেন। তাই তৃণমূল সাংসদদের প্রচারে নামানোটা বিশেষ চমকপ্রদ নয়।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, শত্রুঘ্ন সিনহাদের আপের হয়ে প্রচারে নামিয়ে কংগ্রেসকেই বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। এমনিতেই INDIA জোটের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে তৃণমূলের পক্ষে বারবার সওয়াল করেছেন বিরোধী দলের অনেকেই। মমতাও একাধিকবার কংগ্রেসের ‘দাদাগিরি’ নিয়ে সরব হয়েছেন। সাফ বার্তা, জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র অহংবোধ ছাড়তে হবে শতাব্দীপ্রাচীন দলকে।
