সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্র আন্দোলনের নেতা শারজিল ইমাম (Sharjeel Imam) এবং অন্যদের ২০১৯ সালের জামিয়া হিংসা মামলা (Jamia Violence Case) থেকে নিষ্কৃতি দিয়েছিল দিল্লির একটি আদালত। দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court) নিম্ন আদালতের সেই রায় বাতিল করল। আদালতের পর্যবেক্ষণ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) বিরোধী প্রতিবাদ চলাকালীন শারজিল এবং বাকি ১০ অভিযুক্ত প্রাথমিক ভাবে হিংসার আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই বিষয়ে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।
এগারোটি ভিডিও ক্লিপ, পুলিশের কাছে দেওয়া ২৪ জন সাক্ষীর বিবৃতি এবং বেশ কিছু ফেসবুক পোস্ট বিবেচনার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলাকালীন হিংসার ঘটনায় শারজিল-সহ ১০ অভিযুক্তের নিম্ন আদালতের মুক্তির নির্দেশ বাতিল করল উচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, গত ৪ ফেব্রুয়ারি শারজিলদের খালাস দেওয়ার সময় রায়ে বিচারক স্বরনা কান্তা লিখেছিলেন, “ভিন্নমত পোষণ করা মতপ্রকাশের অধিকারেরই সম্প্রসারিত রূপ।” রায়ে আরও বলা হয়েছিল, পুলিশ শারজিলদের বলির পাঁঠা করেছিল। তবে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মহম্মদ ইলিয়াসকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত।
[আরও পড়ুন: দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজারের বেশি, উদ্বেগ বাড়তেই নয়া নির্দেশিকা WHO’র]
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিল দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার বিচারপতি শর্মার পর্যবেক্ষণ, ভিডিও ক্লিপ এবং সাক্ষীদের জবানবন্দিতে প্রমাণিত যে ১১ অভিযুক্ত বিক্ষোভ চালকালীন হিংসার আশ্রয় নিয়েছিলেন। জামিয়ায় বেআইনি সমাবেশ এবং দাঙ্গায় অভিযোগ তোলা যায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। আদালত আরও বলে, “একাধিক ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছে, পুলিশ প্রতিবাদীদের প্রতিবাদ দেখাতে বারণ করেনি। বরং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পরামর্শ দিয়েছিল।” বিচারপতির আরও যুক্তি, যে অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে আইন অনুযায়ী সমাবেশ রুখতে বাধ্য ছিল পুলিশ। এরপরেই শারজিল-সহ ১০ অভিযুক্তের নিম্ন আদালেতর মুক্তির নির্দেশ বাতিল করে দেয় দিল্লি হাই কোর্ট।