সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে প্রচুর নগদ উদ্ধার হওয়ার পরই তাঁকে বদলির নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু শীর্ষ আদালত শুক্রবার পরিষ্কার করে দিল এই নির্দেশের সঙ্গে ওই নগদ অর্থ উদ্ধারের কোনও সম্পর্ক নেই। সেই সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই অভিযোগের তদন্ত করার জন্য একটি অন্তর্বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এক প্রেস বিবৃতিতে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, 'বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বাসভবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়ানো হচ্ছে।' এরপরই জানানো হয়েছে বিচারপতির বদলির সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। আর সেই সঙ্গেই জানিয়ে দেওয়া হয় নগদ উদ্ধারের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কমিটি। তাদের আজই প্রধান বিচারপতির কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই আগুন লাগে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাড়িতে। যদিও তিনি সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর বাড়ির লোকেদের দেওয়া খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির দমকল। আগুন নেভানোর সময়ই তাঁরা বিচারপতির বাড়িতে প্রচুর নগদের হদিশ পান। খবর যায় পুলিশের কাছে। এই বিপুল নগদ কোথা থেকে এল সেই প্রশ্ন করা হলে বিচারপতির পরিবারের কেউই কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। একই ভাবে বিচারপতি যশবন্ত বর্মাও এই বিষয়ে কোনও যথাযথ তথ্য দিতে পারেননি তদন্তকারী আধিকারিককে।
ঘটনার খবর পেয়েই প্রধান বিচারপতি একটি কলেজিয়াম বৈঠক ডাকেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিচারপতি যশবন্ত বর্মাকে বদলি করা হবে এলাহাবাদ হাই কোর্টে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তিনি। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এবার জানিয়ে দিল, কোনওভাবেই ওই বদলির নির্দেশের সঙ্গে যোগ নেই বিচারপতির বাড়িতে নগদ উদ্ধারের ঘটনার। এদিকে এলাহাবাদ হাই কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন ওই বিচারপতিকে ফেরানোর নির্দেশের প্রতিবাদ করেছে।