সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাচীন স্থাপত্য ভেঙে ফেলে আধিকারিকদের থাকার জন্য বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই অভিযোগে এক আইএএস অফিসারকে নোটিস পাঠাল দিল্লি (Delhi) সরকার। ষোড়শ শতাব্দীতে পাঠান আমলের একটি স্থাপত্য ভেঙে আধিকারিকদের জন্য বাংলো তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিযুক্ত আইএএস অফিসার। ২০২১ সালের এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করেছিল তৃণমূল-সহ একাধিক দল।
অভিযুক্ত অফিসারের নাম উদিত প্রকাশ রাই। বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছে দিল্লি সরকার। মূল অভিযোগ, পাঠান আমলের ওই স্থাপত্য একেবারে ভগ্নস্তূপ হয়ে গিয়েছিল। স্থাপত্যটি এএসআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ ছিল। কিন্তু নানা টালবাহানা করে সেই আদেশ অমান্য করেন রাই। অবশেষে ওই স্থাপত্য একেবারে ভেঙে ফেলে বাংলো বানানোর নির্দেশ দেন তিনি। ওই জমিতে তৈরি হওয়া বাংলোতেই এখন বসবাস করেন রাইয়ের পরিবার। সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতেই নোটিস দেওয়া হয়েছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘রামনবমীর নামে রাজনীতি করা উচিত নয়’, বিজেপিকে নিশানা হিন্দুত্ববাদী নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়ার]
জানা গিয়েছে, ষোড়শ শতকে সৈয়দ আমলের শাসক খিজির খান এই স্থাপত্য তৈরি করেছিলেন। দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা জুড়ে নিজের নামে খিজরাবাদ শহর গড়ে তুলেছিলেন তিনি। সেই সময়ের একমাত্র নিদর্শন ছিল এই স্থাপত্য। একটি প্রাসাদ ও বিশাল প্রবেশদ্বার মিলিয়েই গড়ে তোলা হয়েছিল এই স্থাপত্য, যদিও এখন কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে প্রাসাদটি। সেই জন্যই এই স্থাপত্য অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এএসআই।
কিন্তু বারবার নির্দেশ উপেক্ষা করেন অভিযুক্ত আইএএস (IAS)। অবশেষে প্রাচীন স্থাপত্য ভেঙে বাংলো বানানোর নির্দেশ দেন তিনি। এই ঘটনার পর তীব্র প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। তিনি বলেন, “শুধুমাত্র ভারতেই ঐতিহাসিক স্থাপত্য ভেঙে সরকারি বাংলো বানানো যায়। কেন্দ্রীয় সরকার কি ঘুমোচ্ছে? সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে আবেদন, এই বিষয়ে তদন্ত শুরু হোক।” ঘটনার প্রায় দু’বছর পরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল দিল্লি সরকার।