shono
Advertisement

দু’দিন ধরে গণধর্ষণ যুবতীকে, গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার, নির্ভয়ার ছায়া গাজিয়াবাদে

দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন যুবতী।
Posted: 03:59 PM Oct 19, 2022Updated: 04:08 PM Oct 19, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজটাল ডেস্ক: ফের নারী নির্যাতনের পৈশাচিক রূপ দেখল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। ৩৬ বছরের যুবতীকে টানা দু’দিন ধরে গণধর্ষণের অভিযোগ। বর্বর অত্যাচারের পর হাত-পা বেঁধে বস্তাবন্দি করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের সময় যুবতীর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢোকানো ছিল। ঘটনার ভয়াবহতা নির্ভয়া কাণ্ডের কথা মনে করাচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও অবধি চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন যুবতী।

Advertisement

গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) পুলিশ জানিয়েছে, আশ্রম রোড থেকে আশঙ্কজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নন্দনাগরির বাসিন্দা যুবতীকে। দু’দিন আগে ১৬ অক্টোবর চার দুষ্কৃতী অপহরণ করে তাঁকে। ওই চার জন এবং আরও কয়েকজন গত দু’দিন ধরে টানা ধর্ষণ করে যুবতীকে। ঘটনায় সরব হয়েছে দিল্লি মহিলা কমিশন (Delhi Women Commission)। নির্মম অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে জানতে চেয়েছে কমিশন।

[আরও পড়ুন: ভাল আচরণের জন্য মুক্তি পাওয়া বিলকিসের ধর্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছিল শ্লীলতাহানির অভিযোগও! প্রকাশ্যে তথ্য]

এদিকে ঘটনাটি বিসদে জানাতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গাজিয়াবাদে তাঁর ভাইয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তরুণী। ফেরার পথে অটোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন রাস্তায়। সেই সময় একটি এসইউভি গাড়িতে তাঁকে অপহরণ করে চার ব্যক্তি। মহিলা কমিশনের বক্তব্য, যুবতীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই চারজন এবং আরও কয়েকজন টানা দু’দিন ধরে শারীরিক নির্যাতন চালায়। গণধর্ষণের পর তাঁর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পরে হাত-পা বেঁধে বস্তাবন্দি করে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। ওই অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে যুবতীকে। এরপর রাজধানীর জিটিবি হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। বর্তমানে সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন যুবতী।

[আরও পড়ুন: নেপাল, চিনের মতো কাশ্মীরও পৃথক রাষ্ট্র! বিহারের প্রশ্নপত্র ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক]

ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও অবধি চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের একজনের নাম শাহরুখ বলে জানা গিয়েছে। গাজিয়াবাদের এসপি নিপুন অগরওয়াল বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ও অভিযুক্তদের মধ্য সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। সেই আক্রোশে এই গণধর্ষণ তথা পৈশাচিক অত্যাচার কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement