সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মহত্যার (Suicide) চেষ্টা করলেন ‘বাবা কা ধাবা’র (Baba ka Dhaba) মালিক কান্তা প্রসাদ। ৮১ বছরের বৃদ্ধকে সফদরজং হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে ছোটে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ জানিয়েছে, মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়েছিলেন। বাবা যে এমনটা করেছেন তা স্বীকার করেছেন তাঁর ছেলে করণ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
দিল্লির মালব্যনগর এলাকাতে রাস্তার ধারে অবস্থিত তাঁর ছোট্ট ধাবাটি। গাছের তলায় টিনের চালা দিয়ে ঢাকা। সেখানেই গত ৩০ বছর ধরে সামান্য টাকার বিনিময়ে খাবার বিক্রি করে নিজের ও বৃদ্ধা স্ত্রীর পেট চালাতেন বছর আশির কান্তা প্রসাদ। রাতারাতি এক ইউটিউবারের তোলা ভিডিওর দৌলতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে অশীতিপর বৃদ্ধের জীবন সংগ্রামের কাহিনি। লকডাউনের সময় দোকানের মাধ্যমে উপার্জন একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। এই সময়ই তাঁদের নিয়ে ভিডিওটি বানান গৌরব ওয়াসন। সেই ভিডিওয় তিনি সকলের কাছে আরজি জানান, বৃদ্ধ ও তাঁর স্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য। দ্রুত ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিড় উপচে পড়তে থাকে ‘বাবা কা ধাবা’র সামনে।
[আরও পড়ুন: আনলকের ফলে দ্রুত আঘাত হানবে করোনার তৃতীয় ঢেউ! সতর্কবার্তা দিল্লি হাই কোর্টের]
পরে অবশ্য গৌরবের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছিল তাঁর। টাকা তছরূপ এবং খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও এনেছিলেন ওই ইউটিউবারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। পরে অবশ্য সেই গৌরবের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন কান্তা প্রসাদ। ভিডিওতে বৃদ্ধকে হাতজোড় করে বলতে শোনা যায়, “গৌরব ওয়াসন কোনও চুরি করেনি। আমাদের তরফ থেকে কেবল একটি ভুল হয়েছে। আমরা কোনও ভুল করে থাকলে আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।” গৌরবও জানিয়ে দেন তাঁর সঙ্গে কান্তা প্রসাদের আর কোনও সমস্যা নেই।
এদিকে ডিসেম্বরে নিজের রেস্তরাঁ খুলে ফেলেছিলেন প্রসাদ। কিন্তু সেই দোকান চালাতে না পেরে আবার পুরনো দোকানেই ফিরে এসেছেন তিনি। কেন হঠাৎ ওই বৃদ্ধ আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, তা এখনও জানা যায়নি।