সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর জবাব তলব করল দিল্লি হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী বছর ১২ মার্চ।
হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিট গ্রহণ না করেই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, নিম্ন আদালত চার্জশিট ভালো করে না দেখেই অভিযুক্তদের অব্যাহতি দিয়েছে। মামলাটিকে কেবল ব্যক্তিগত অভিযোগ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে, যা একেবারেই অনুচিত। তাই নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।
ইডির এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজা সোনিয়া-রাহুলের জবাব তলব করেছেন। এ ছাড়াও জবাব তলব করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা সুমন দুবে, স্যাম পিত্রোদা-সহ কিছু সংস্থা, সংগঠন যেমন ইয়ং ইন্ডিয়ান, ডটেক্স মার্চেন্ডাইস লিমিটেড। হাইকোর্টে ইডির হয়ে সওয়াল করেছেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। আর সনিয়াদের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী অভিষেক সিঙ্ঘভি এবং আরএস চিমা।
জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র নিয়ে ২০১৩ সালে, মনমোহন সিংহের জমানাতেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ, ‘অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড’ নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। যার বেশির ভাগটাই কংগ্রেসের কাছ থেকে নেওয়া। তাই এই মামলার প্রথম থেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বের নাম জড়িয়েছে। ২০২১ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডি। বিজেপি নেতা সুব্র্যহ্মণমের দায়ের করা মামলায় আদালতের রায়ের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, ইয়ং ইন্ডিয়া অলাভজনক সংস্থা। এই সংস্থা কোনও মালিককে ডিভিডেন্ড (মুনাফার ভাগ) দিতে পারে না। কোনও সম্পত্তির হাতবদল বা আর্থিক লেনদেনও হয়নি।
